Advertisement
১৯ মে ২০২৪

স্থানীয় আমলাদের বঞ্চনায় ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর

পরিবেশ সচিব অর্ণব রায়কে টি-বোর্ডে পাঠাতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এ বছর থেকেই আমলার বদলে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে টি-বোর্ডের চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তা নিয়েই আপত্তি রাজ্যের।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৭ ০৩:০৪
Share: Save:

টি-বোর্ড, কলকাতা পোর্ট ট্রাষ্ট, জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার মতো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থায় ভিন রাজ্য থেকে লোক এনে মাথায় বসিয়ে দেওয়ায় এ বার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কলকাতার বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার শীর্ষে বরাবরই বেঙ্গল ক্যাডারের আইএএস অফিসাররা থেকেছেন। কিন্তু এই প্রথম কলকাতা বন্দর কিংবা টি বোর্ডে রাজ্যের কোনও অফিসার থাকছেন না। জুট কর্পোরেশনেও কোনও পূর্ণ সময়ের অফিসার নেই। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার প্রতি বঞ্চনা করতেই এমন করছে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এখান থেকে টি-বোর্ড তুলে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে। চেয়ারম্যান হিসেবে এক জন অফিসারকে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু এক জন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। আর যাঁকে চেয়ারম্যান করতে পাঠালাম, তাঁকে বলছে ডেপুটি চেয়ারম্যান করা হবে।’’ এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘রাজ্য সরকার কেন মানবে? ওই অফিসারকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, তিন বছর কেন্দ্রীয় সরকারে কাজ করতে পারবে না। এ কেমন কথা!’’ দিল্লিকে ফের কড়া চিঠি লিখে এর প্রতিবাদ জানানো হবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান।

পরিবেশ সচিব অর্ণব রায়কে টি-বোর্ডে পাঠাতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এ বছর থেকেই আমলার বদলে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে টি-বোর্ডের চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তা নিয়েই আপত্তি রাজ্যের। কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান পদেও মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের প্রার্থীকে মনোনীত করেনি জাহাজ মন্ত্রক। মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন বর্তমান উদ্যান পালন সচিব বিপি গোপালিকা কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান হোন। কিন্তু তাঁর আবেদনপত্রই গ্রহণ করেনি দিল্লি। কলকাতা বন্দর এখন অস্থায়ীভাবে চালাচ্ছেন বিশাখাপত্তনম বন্দরের চেয়ারম্যান। জুট কর্পোরেশনের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।

যদিও রাজ্যের আমলা মহলের একাংশের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও পদে অফিসারদের যেতেই দিতে চান না মুখ্যমন্ত্রী। বহু অফিসার দিল্লিতে বিভিন্ন পদে আবেদন করার জন্য অনুমতি চেয়েও পাননি। ফলে কেন্দ্রীয় সরকার শুধুমাত্র বাংলার অফিসারদের বঞ্চনা করছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তার সঙ্গে একমত নন বাংলার অফিসারদের একাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE