প্রতীকী ছবি।
এখনকার মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনের কোচ স্টেনলেস স্টিলের তৈরি। তাই সেগুলি ভারী। কিন্তু অতি দ্রুত ট্রেন ছোটাতে হলে চাই অ্যালুমিনিয়ামের হালকা কোচ। দেশে মেট্রো রেলের কোচে অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবহার শুরু হয়েছে আগেই। গতির খাতিরে এ বার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো আধুনিক ট্রেনেও অ্যালুমিনিয়ামের কোচ ব্যবহার করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্টেনলেস স্টিলের তৈরি এলএইচবি কোচের তুলনায় হালকা অ্যালুমিনিয়ামের কোচ ব্যবহার করা গেলে ট্রেনের গতি বাড়ানো সহজ হবে বলে মনে করছেন রেলকর্তারা।
দেশেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালাতে চায় কেন্দ্র। দিল্লি-হাওড়া এবং মুম্বই-দিল্লি রুটে ঘণ্টায় ওই গতিতে ট্রেন চালানোর জন্য প্রস্তুতি পর্বের কাজ আগেই শুরু হয়েছে। সেই জন্য ট্র্যাক এবং ওভারহেড কেব্লে জরুরি বদল করা হচ্ছে। বর্তমানে চালু বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ট্র্যাকের সমস্যায় ওই ট্রেন আপাতত ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটারের মধ্যেই গতি সীমাবদ্ধ রাখে। রেলকর্তারা জানান, ভবিষ্যতে অ্যালুমিনিয়ামের কোচ ব্যবহার করলে ট্রেনের গতি বাড়ানোর রাস্তা খুলে যাবে। সেই লক্ষ্য মাথায় রেখেই আসন্ন বাজেটে অ্যালুমিনিয়ামের কোচ তৈরির টাকা বরাদ্দ করতে চায় কেন্দ্র।
বছর দুয়েক আগে রায়বরেলীর মর্ডান কোচ ফ্যাক্টরিতে দেশের মাটিতে প্রথম অ্যালুমিনিয়ামের কোচ তৈরির উদ্যোগ শুরু হয়। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইতিমধ্যে তাদের ৭৫টি নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি ছাড়াও রায়বরেলীর মডার্ন কোচ ফ্যাক্টরি এবং কপূরথালার রেল কোচ ফ্যাক্টরিতে ওই ট্রেনসেট তৈরি হওয়ার কথা। নির্মীয়মাণ ওই সব ট্রেনের একাংশে অ্যালুমিনিয়ামের কোচ ব্যবহার করতে চায় রেল। এর আগে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (ট্রেন১৮ নামেও পরিচিত) নির্মাণের সময় তার অধিকতর উন্নত সংস্করণ হিসেবে ট্রেন২০-এর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেখানে অ্যালুমিনিয়ামের স্লিপার কোচ ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু নানা ধরনের জটিলতায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি।
হাইস্পিড রেল করিডরের পাশাপাশি সেমি-হাইস্পিড রেলকে বিশেষ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতেই ওই অ্যালুমিনিয়ামের কোচ তৈরির পরিকল্পনা বলে রেল সূত্রের খবর। সব গুরুত্বপূর্ণ রুটে যাতায়াতের সময় কমাতে পারলে ট্রেনে যাত্রী বাড়বে বলে রেলকর্তাদের আশা। কম খরচের উড়ান ইতিমধ্যেই প্রতিযোগিতার মুখে ফেলে দিয়েছে রেলকে। বহু যাত্রীই ট্রেনের বদলে উড়ানের টিকিট কাটছেন। তাঁদের মূল উদ্দেশ্য সময় বাঁচানো। ট্রেনেও যদি সময় বাঁচানোর বন্দোবস্ত থাকে, তা হলে উড়ানমুখী যাত্রীদের একটি অংশকে নিজেদের দিকে ফিরিয়ে আনা যাবে বলে আশা করছেন রেল আধিকারিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy