Advertisement
০৩ মে ২০২৪

কলেজে ভর্তিতে টাকা নিলে গ্রেফতার: সৈকত

কলেজে ভর্তি নিয়ে টাকা লেনদেনের অভিযোগের প্রসঙ্গ এ বার উঠল যুব তৃণমূলের সভাতেও। শনিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলেজে ভর্তিতে দুর্নীতি রুখতে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৮ ০৩:০৯
Share: Save:

কলেজে ভর্তি নিয়ে টাকা লেনদেনের অভিযোগের প্রসঙ্গ এ বার উঠল যুব তৃণমূলের সভাতেও। শনিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলেজে ভর্তিতে দুর্নীতি রুখতে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন।

রবিবার জলপাইগুড়িতে জেলা যুব তৃণমূলের বর্ধিত সভা ছিল। সভাতে ডাকা হয়েছিল ব্লক সভাপতি থেকে বিভিন্ন কমিটির সবাইকে। সেই সভাতে জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে বলতে হয়েছে, “কলেজের ভর্তিতে অর্থের কাছে মেধা যেন না হেরে যায়, সেটা দেখতে হবে।” দলের কর্মীদের হুঁশিয়ারিও দিতে শোনা গিয়েছে জেলা যুব সভাপতিকে। তিনি বলেছেন, “দল কিন্তু কড়া অবস্থান নিয়েছে। ছাত্র ভর্তি করাতে কেউ কোনও টাকা নিলে তার গ্রেফতারি নিশ্চিত।”

২১ জুলাই-এর আয়োজনের জন্য যে সভা ডাকা হয়েছে, তাতে ছাত্র ভর্তি প্রসঙ্গ শুনে যুবকর্মীদের অনেকেই অবাক হয়ে যান। ঘটনা হল, জলপাইগুড়ির বিভিন্ন কলেজে ছাত্র ভর্তি নিয়ে তৃণমূলের বিভিন্ন সংগঠনের দাদাগিরির অভিযোগ রয়েছে। টাকা লেনদেন নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। কলেজের আসেপাশে ছাত্রনেতাদের ভিড়ে যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীদেরও অনেককে দেখা যাচ্ছে। সে কথা মাথায় রেখেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলে যুব তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে। গত মাসে কলকাতায় সভা থেকে যুব সংগঠনকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের মূল সংগঠনের সঙ্গে যুবর কর্মসূচি নিয়ে যাতে কোনও সংঘাত না হয়, তার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এ দিন জলপাইগুড়ি জেলা যুব সংগঠনের তরফে জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য ডেঙ্গি এবং প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার রুখতে সংগঠনের সকলকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শহর এবং গ্রামে উভয় এলাকাতেই প্রচার হবে। প্রতি বুথে বিশেষ কমিটি হবে। যাঁরা ডেঙ্গি রুখতে বাসিন্দাদের সচেতন করবেন এবং প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহারের বিপদ বোঝাবেন।

কিন্তু এই সব বিষয় নিয়ে পুরসভা এবং স্বাস্থ্যদফতর তো প্রচার চালাচ্ছে, তবে কি শাসক দলের যুব সংগঠন মনে করছে প্রশাসনিক স্তরে যথাযথ প্রচার হচ্ছে না? জেলা যুব সভাপতি সৈকতবাবুর উত্তর, ‘‘প্রশাসন যথেষ্ট ভাল ভাবে প্রচার চালাচ্ছে। প্রশাসনকে সহযোগিতা করতেই এই কর্মসূচি।”

একুশে জুলাইয়ের সভার জন্য দলের কেউ কোনও রকম চাঁদা তুলতে পারবেন না বলেও এ দিন জেলা নেতৃত্ব সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। ধর্মতলা চলো বলে লেখা পোস্টারে স্থানীয় কোনও নেতার ছবি যেন না থাকে, তা নিয়েও সর্তক করে দেওয়া হয়েছে রবিবার পুরসভার প্রয়াস হলের সভা থেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE