Advertisement
০৭ মে ২০২৪

হাজিরা চাই, কলেজ বোঝাক: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী এ দিন ফের স্পষ্ট করে দেন, পড়ুয়াদের হাজিরা নিয়ে যে-বিতর্ক, সেটা পুরোপুরি দেখবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ই। তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের কাছে আবেদন করছি, তাঁরা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের 

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:২২
Share: Save:

নিয়মিত ক্লাস করার সঙ্গে নম্বর পাওয়ার বিষয়টিও যে জড়িত, তা মনে করিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার তিনি জানান, হাজিরার গুরুত্ব কতটা, পড়ুয়াদের তা বোঝাতে হবে কলেজ-কর্তৃপক্ষকেই। ‘‘কলেজকে বোঝাতে হবে। এটুকু সময় দিতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। শুধু ঢুকলাম আর চলে এলাম, এটা না-করে তাঁদের অভাব-অভিযোগও শুনতে হবে,’’ বলেন পার্থবাবু।

শিক্ষামন্ত্রী এ দিন ফের স্পষ্ট করে দেন, পড়ুয়াদের হাজিরা নিয়ে যে-বিতর্ক, সেটা পুরোপুরি দেখবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ই। তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের কাছে আবেদন করছি, তাঁরা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরে আস্থা রাখেন।’’ শুধু প্রথম সেমেস্টার নয়, দ্বিতীয় সেমেস্টারের হাজিরা নিয়েও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান তিনি। তাঁর মতে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০টি কলেজের মধ্যে হাজিরা নিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে মাত্র সাত-আটটি কলেজে।

পড়ুয়াদের ন্যূনতম হাজিরা ৬০ শতাংশের নীচে কিছুতেই নামবে না বলে আগে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে এ দিন সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি উত্তর দেননি। তবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, হাজিরা নিয়ে নরম কর্তৃপক্ষ হবেন না। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র নির্দেশ, পড়ুয়াদের হাজিরা ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ সেটা কমিয়ে ৬০ শতাংশ করেছেন। ‘‘আর কত ছাড় দেব,’’ প্রশ্ন উপাচার্যের।

পরিকাঠামো ছাড়াই চয়েস বেস ক্রেডিট সিস্টেম (সিবিসিএস) চালু করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের সামনে এ দিন বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই। পরে তারা উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেয়। এ দিন উপাচার্যের প্রশ্ন, ‘‘ক্লাস না-করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজায় পড়ুয়ারা লাথি মারবে কেন?’’ উপাচার্য এ দিন সাংবাদিকদের জানান, সিবিসিএস নিয়ে কর্তৃপক্ষ কলেজগুলিকে অনেক বার সতর্ক করেছেন। হাজিরা পদ্ধতি যাতে ঠিক ভাবে মানা হয়, সেই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছেন।

এসএফআইয়ের বিক্ষোভের জেরে এ দিন মিনিট দশেক কলেজ স্ট্রিট অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এসএফআইয়ের কলকাতা জেলা সভাপতি আর্জুন রায় বলেন, ‘‘পরিকাঠামো ছাড়া সিবিসিএস চালু করার বিরোধী আমরা।’’

তাঁর মতে, বহু কলেজে শিক্ষক নেই। শিক্ষক না-থাকায় অনেক অশিক্ষক কর্মীও অনেক সময় সাদা কাগজে কলেজে হাজির হওয়া ছাত্রছাত্রীদের নাম লিখে নেন। অভিযোগ, অনেক সময়েই সেই নাম হাজিরা খাতায় ওঠে না। ‘‘কলেজে হাজিরাকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির পাহাড় তৈরি হয়েছে,’’ বলেন এসএফআই নেতা সমন্বয় রায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE