ফাইল চিত্র।
রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনে ছাত্রছাত্রী ভর্তি নেওয়ার সিদ্ধান্ত এ বছরের মতো স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরে কলেজগুলি নিজস্ব পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তি করতে সক্রিয় হয়েছে। কোনও কোনও কলেজ আবার সরকারি নির্দেশের অপেক্ষায় আছে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে মঙ্গলবার এক বৈঠকে মূলত বিভিন্ন জেলার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যেরা জানান, এখন কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনে ভর্তি নিলে তা তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে। কারণ, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই। তার পরেই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়। যদিও বুধবার পর্যন্ত এই বিষয়ে সরকারি ভাবে কোনও নির্দেশ প্রকাশিত হয়নি। লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের অধ্যক্ষা শিউলি সরকার জানান, তাঁরা আজ, বৃহস্পতিবার ভর্তি নিয়ে আলোচনায় বসবেন। আগে তাঁরা যে-পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তি নিয়েছেন, সেই পোর্টালের মাধ্যমে এ বারেও ভর্তি নেওয়ার কথা ভাবছেন। নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী জানান, তাঁরা পোর্টাল নিয়ে প্রস্তুত। উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশ পেলেই ভর্তি শুরু করতে পারবেন। বেহালা বিবেকানন্দ কলেজ ফর উইমেনের অধ্যক্ষা সোমা ভট্টাচার্যও আগের পোর্টালেই ভর্তির ব্যাপারে আশাবাদী।
উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বেরোলেও সিবিএসই দ্বাদশ এবং আইএসসি পরীক্ষার ফল এখনও প্রকাশিত হয়নি। তাই উপাচার্য-শিক্ষামন্ত্রী বৈঠকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি কলেজে ছাত্রছাত্রী ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করার সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে।
২০১৪ সালে ব্রাত্যবাবু শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনে ভর্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করেও রাজ্য সরকার পিছিয়ে যায়। পরে ভর্তি নিয়ে দুর্নীতিতে উঠে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপির নাম। শিক্ষা শিবিরের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনে ভর্তি শুরু হলে দুর্নীতি রোধ করা যাবে।
কেন্দ্রীয় পোর্টালে ভর্তির সিদ্ধান্ত স্থগিতের প্রেক্ষিতে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘তৃণমূলের টাকা তোলার এবং ভর্তি দুর্নীতির পথই প্রশস্ত হল।’’ বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ওয়েবকুটা) সাধারণ সম্পাদক কেশব ভট্টাচার্য। সমালোচনায় সরব হয়েছে ছাত্র সংগঠন ডিএসও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy