সন্দেশখালির পথে বাধা কংগ্রেসের দ্বিতীয় প্রতিনিধিদলকে। —নিজস্ব চিত্র।
সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশ আটকে দিল রাজ্য কংগ্রেসের প্রথম প্রতিনিধিদলকে। অমিতাভ চক্রবর্তীর সঙ্গে রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভাপতি আজহার মল্লিক , এআইসিসি সদস্য ইন্দ্রাণী দত্ত চ্যাটার্জী-সহ বেশ কিছু কংগ্রেস কর্মীকে সন্দেশখালির ৭ কিলোমিটার আগে রামপুরে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। অমিতাভেরা রাস্তায় বসে পড়লে ধুন্ধুমার বেধে যায়।পুলিশের সঙ্গে তীব্র বচসা শুরু হয়। তার মধ্যেই পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে সন্দেশখালিগামী একটি বাসে সবাই উঠে পড়েন।পুলিশ বাসটিকেও আটকে দেয়। এর পরে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হয়। প্রায় দু'ঘণ্টা এই উত্তেজনা চলে। পরে অমিতাভ বলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে যেটা চলছে, সেটা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ! পুলিশ ব্যারিকেড করে বিরোধীদের আটকে দিয়ে, সন্দেশখালির ভিতরে যত পাপ এই শাহজাহান বাহিনী করেছে, সেগুলো আড়াল করতে চাওয়া হচ্ছে। মা-বোনের অসম্মানের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।’’
পরে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে কংগ্রেসের দ্বিতীয় দলটিকেও আটকে দেয় পুলিশ-প্রশাসন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা (গ্রামীণ) কংগ্রেসের সভাপতি অমিত মজুমদার, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, সুমন রায় চৌধুরী, প্রদেশ মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সুব্রতা দত্ত, সালাউদ্দিন ঘরামিদের নিয়ে কংগ্রেসের যে প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার সন্দেশখালি যাচ্ছিল, তাদের আটকে দেওয়া হয় সরবেড়িয়ার কাছে। কংগ্রেস নেতারা পুলিশকে অনুরোধ করেন অন্তত ৫ জন বা ৩ জনের মহিলা প্রতিনিধিদলকে এলাকায় যেতে দেওয়ার জন্য। পুলিশ অবশ্য ১৪৪ ধারার কথা বলে সেই অনুমতি দেয়নি। কংগ্রেস কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। তার মধ্যেই খবর আসে কলকাতা হাই কোর্ট ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের তরফে এক দিনের মধ্যে ‘মুক্ত’ সন্দেশখালিতে যেতে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা অবস্থান তুলে নেন। তবে সন্দেশখালির মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন কংগ্রেস নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy