দুর্দিনে ভাঙা সংগঠন নিয়েও পদযাত্রায় ভাল ভিড় টেনে দেখিয়েছে সিপিএম। সামনে ৬ ডিসেম্বর কলকাতায় ফের বামেদের মহামিছিলের প্রস্তুতি চলছে। এই পরিস্থিতিতে শহরে চোখে পড়ার মতো জমায়েত করতে মরিয়া হয়ে আসরে নামল প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। প্রস্তুতি শুরু হল ব্রিগে়ড সমাবেশের কায়দাতেই।
সাংগঠনিক ক্ষমতা নেই বলে তৃণমূল, বামফ্রন্ট বা বিজেপির মতো তাঁরা ব্রিগেড সমাবেশ করতে পারছেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। পরিবর্তে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে ১২ ডিসেম্বরের সমাবেশেই অস্তিত্ব জানান দিতে চাইছেন তাঁরা। ‘সরকারে না থাকি, দরকারে আছি’— এই স্লোগান সামনে রেখে সামাজিক মাধ্যমে এক একটি বিষয় ধরে জনতার মতামত নিচ্ছেন প্রদেশ সভাপতি। সোমেনবাবু-সহ প্রদেশ নেতারা জেলায় জেলায় গিয়েও প্রস্তুতি সভা করছেন। উত্তরবঙ্গ থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের থাকার জন্য শহরে ধর্মশালা নেওয়া হচ্ছে। প্রদেশ নেতৃত্বের আশা, ১১ ডিসেম্বর পাঁচ রাজ্যের ভোটে কংগ্রেসের ফল ভাল হলে পর দিন কলকাতার সমাবেশে সাড়া মিলবে এবং সেখান থেকেই লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দেওয়া যাবে।
রাজ্যে শিল্পের দুর্দশা, নতুন কর্মসংস্থানের অভাব, শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য, আর্থিক কেলেঙ্কারির নানা অভিযোগ এবং তার পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদী সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত, ‘রাফাল দুর্নীতি’র মতো নানা বিষয়ে সরব হচ্ছে কংগ্রেস। ওই সব প্রশ্নেই এখন প্রচার এবং মত বিনিময় চলছে। আর্থিক কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গে সোমেনবাবু যেমন বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রচ্ছন্ন মদতে সারদা, নারদ-কাণ্ডের সিবিআই তদন্তে ঢিলেমি চলছে। রাঘব-বোয়ালেরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে! প্রতারিত আমানতকারী এবং এজেন্টরা সুবিচার চাইছেন। তাঁদের দাবি সমস্বরে ধ্বনিত হবে আমাদের সমাবেশে।’’
প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের পাশাপাশিই বাংলার ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা গৌরব গগৈ এবং তাঁর তিন সহ-পর্যবেক্ষক বি পি সিংহ, শরৎ রাউত এবং মহম্মদ জাভেদেরও ১২ তারিখের সমাবেশে থাকার কথা। তার আগে ৬ তারিখ বাবরি ধ্বংসের বর্ষপূর্তির দিনে বামেরা যখন মিছিল করবে, সে দিন ‘কালা দিবস’ পালনের ডাক দিয়েছেন সোমেনবাবুরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy