প্রশ্ন উঠছে, নবম-দ্বাদশের যে-সব ছাত্রছাত্রী স্কুলে ক্লাস করতে চায় না, তাদের কী হবে? ফাইল চিত্র।
যথেষ্ট সংখ্যক শিক্ষক বা প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই গ্রাম-মফস্সলের অনেক স্কুলেই। প্রশ্ন উঠছে, ১৬ নভেম্বর স্কুল খুলে গেলে সেই সব প্রতিষ্ঠানে একসঙ্গে অনলাইন ও অফলাইনে ক্লাস নেওয়া যাবে কী ভাবে? কম শিক্ষক নিয়ে যুগপৎ অফলাইনে নবম থেকে দ্বাদশ এবং অনলাইনে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস করা যে খুবই সমস্যার, তা মেনে নিচ্ছেন শিক্ষক শিবিরের অনেকেই।
গ্রামীণ এলাকার অধিকাংশ শিক্ষক চান, ১৬ নভেম্বর স্কুল খুললে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদেরও অফলাইনে ক্লাস করার অনুমতি দেওয়া হোক। শহরাঞ্চলের বহু স্কুল অবশ্য জানাচ্ছে, তারা অন ও অফ দুই লাইনেই ক্লাস চালু রাখবে। নবম-দ্বাদশের ক্লাস চলবে অফলাইনে। পঞ্চম থেকে অষ্টম অনলাইনে।
প্রশ্ন উঠছে, নবম-দ্বাদশের যে-সব ছাত্রছাত্রী স্কুলে ক্লাস করতে চায় না, তাদের কী হবে? তা হলে কি ওই চার শ্রেণির জন্য অফ ও অন দুই লাইনই চালু থাকবে? শিক্ষক পাওয়া যাবে কী ভাবে? কিছু স্কুল জানাচ্ছে, নবম-দ্বাদশের কিছু পড়ুয়া অফলাইনে আর কিছু পড়ুয়া অনলাইন ক্লাস চাইলে কী ভাবে সেটা করা যায়, পরিস্থিতি অনুযায়ী সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মন্দিরবাজার ঝাঁপবেড়িয়া স্কুলের শিক্ষক অনিমেষ হালদার জানান, গ্রামীণ স্কুলে একাদশ-দ্বাদশের কোনও কোনও পড়ুয়ার স্মার্টফোন রয়েছে। কিন্তু পঞ্চম-অষ্টমের কারও তা নেই বললেই চলে। অনিমেষবাবু বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে স্কুলে নবম-দ্বাদশের ক্লাসের ব্যবস্থা হয়েছিল। তখনও আমরা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইনে পড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। অন ও অফলাইনের আলাদা রুটিন করে লাভ হয়নি। তাই আমাদের আবেদন, স্কুল খোলার পরে পরিস্থিতি বুঝে পর্যায়ক্রমে স্কুলে আসতে দেওয়া হোক পঞ্চম-অষ্টমের পড়ুয়াদেরও।”
ডোমজুড় কেশবপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর দাসও জানান, ফেব্রুয়ারিতে একসঙ্গে অন ও অফলাইনে ক্লাস করা যায়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাঁচুয়াখালি হাইস্কুলের শিক্ষক কিংশুক হালদারের বক্তব্য, “বহু গ্রামীণ স্কুলেই শিক্ষক কম। একসঙ্গে অনলাইন ও অফলাইনে স্কুল চালানো খুব কঠিন।’’
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, “অনলাইন ক্লাসের জন্য স্কুলে চারটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। সেখানেই শিক্ষকেরা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইন-পাঠ দিতে পারবেন।” তিনি জানান, নবম-দ্বাদশের যারা স্কুলে এসে ক্লাস করতে চাইবে না, ইউটিউব বা লাইভ ক্লাসরুমের মাধ্যমে তাদের পড়ানো যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাশ্বতী অধিকারী বলেন, “অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইনে এবং নবম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত অফলাইনে পড়ানোর রুটিন হচ্ছে।’’ নৈহাটি নরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক শান্তনু কুণ্ডু জানান, যে-সব শিক্ষক একাদশ-দ্বাদশের ক্লাস নেন, তাঁদের অনেকেই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস নেন না। রুটিন হবে সে-ভাবেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy