ধৃত প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী ও অর্ঘ্য চট্টোপাধ্যায় নিজস্ব চিত্র।
এক দিকে যখন রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, সেই সময় মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠছে কিছু প্রতারণা চক্র। এমনই এক প্রতারণা চক্র ধরা পড়ল হুগলির চন্দননগরে। টাকা নিয়ে করোনার ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে ওই চক্রের বিরুদ্ধে। ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ধৃতদের নাম প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী (৩২) ও অর্ঘ্য চট্টোপাধ্যায় (৩৭)। পুলিশ সূত্রে খবর, অর্ঘ্য হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের চুক্তি ভিত্তিক কর্মী। এ ছাড়া তিনি বিনায়ক ডায়াগনস্টিক এবং হাওড়া স্পেশালিস্ট ডায়াগনস্টিক নামের ২টি সেন্টারের সঙ্গেও যুক্ত। দু’জনে মিলে এই চক্র শুরু করেন। পুলিশ জানিয়েছে, প্রসেনজিৎ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করতেন। তার পর সেই নমুনার ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করে দিতেন তাঁরা। প্রতিটি রিপোর্টের জন্য তাঁরা ১৭০০ টাকার করে নিতেন।
সম্প্রতি চন্দননগরের এক বাসিন্দা অভিযুক্তদের কাছ থেকে করোনা পরীক্ষা করে প্রতারিত হন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে চন্দননগর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। শুক্রবার রাতে চন্দননগরের সুভাষ পল্লি ও নাড়ুয়া রায় পাড়ায় অভিযুক্তদের বাড়ি হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে ৫টি পিপিই কিট, আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্টের খালি ফর্ম, ৫০টি কোভিড টেস্টিং কিট, ব্যবহৃত কোভিশিল্ড টিকার কিট, ৪০টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন কোভিড পরীক্ষার কিট ও ১০০টি সিল করা ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ উদ্ধার হয়।
শনিবার ধৃতদের চন্দননগর বিশেষ আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৪২০, ৪০৬, ৪৬৭, ৪৬৮, ১২০ বি আইপিসি এবং ৫২ বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এই চক্রে আর কেউ যুক্ত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy