প্রতীকী ছবি।
লাগাতার নির্বাচনী বিপর্যয়ে এবং নিচু তলায় কর্মী-সমর্থকদের শিবির বদলের জেরে দলের বহর এখন ছোট হয়ে গিয়েছে। এ বার রাজ্য সম্মেলনের কলেবরও ছোট করে আনল সিপিএম। আগামী মার্চে কলকাতায় তিন দিনে সম্মেলন সেরে ফেলবে তারা। সম্মেলন উপলক্ষে থাকছে না কোনও সমাবেশও।
সচরাচর সমাবেশের জন্য এক দিন ধরে মোট চার বা পাঁচ দিন চলে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন। প্রতি তিন বছর অন্তর রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষে বড় আকারে সমাবেশ হয়। কলকাতায় ব্রিগে়ড সমাবেশই সিপিএমের ইদানীং কালের দস্তুর। কিন্তু এ বার সে সব কিছুই হচ্ছে না। দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে সোমবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ৪ থেকে ৬ মার্চ রাজ্য সম্মেলন হবে প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে।
কেন এমন নীরবে সম্মেলন? কেনই বা ছোট করে দেওয়া হল আলোচনার দিনক্ষণ? দলের এক পলিটব্যুরো সদস্যের জবাব, ‘‘এ বার তেমন কিছু কর্মসূচি নেই। সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে লোকাল ও জোনাল কমিটি ভেঙে দিয়ে এরিয়া কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে আগেই। এ বার সংগঠনকে ধরে রাখা এবং লড়াইয়ের জায়গায় রাখাই মুখ্য উদ্দেশ্য।’’ সিপিএম সূত্রের খবর, এ বারের সম্মেলনে দলের রাজ্য নেতৃত্বে রদবদলের সম্ভাবনাও নেই। তাই উত্তেজনা আরও কম। তবে পার্টি কংগ্রেসে কী রাজনৈতিক লাইন নেওয়া হবে, সেই প্রশ্ন ঘিরে বিতর্ক উঠবে রাজ্য সম্মেলনেও।
সম্মেলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করার জন্যই দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক চলছে আলিমুদ্দিনে। প্রথম দিনে বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিরা কমিটিভিত্তিক সম্মেলনের পরিকল্পনা এবং সদস্যপদ নবীকরণের তথ্য জানিয়েছেন। গোড়াতেই দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের পরামর্শ, সম্মেলনের জন্য পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতিতে ঢিলে দেওয়া যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী যখন চাইবেন, তখনই পঞ্চায়েত ভোট হবে এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন তাতে সিলমোহর দেবে। তাই বুথ কমিটি গড়ে তোলার কাজ ফেলে রাখা চলবে না বলে জেলা নেতৃত্বকে মনে করানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy