১৯ ডিসেম্বর শনিবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই
জে পি নড্ডার কনভয়ে হামলার জেরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বঙ্গ সফরের নিরাপত্তায় জোর দিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। বৃহস্পতিবারই অমিত শাহের নিরাপত্তা নিশ্চিদ্র করতে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিল সিআরপিএফ। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসূচিতে যে সব এলাকা বা রাস্তা রয়েছে, সেখানকার নিরাপত্তা কী ভাবে সাজানো হচ্ছে, তা জানতে চেয়েছে সিআরপিএফ। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করার কথাও ডিজি বীরেন্দ্রকে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে ডায়মন্ড হারবারে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নড্ডার কনভয়ে হামলা হয়েছিল। সেই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই তিন আইপিএস অফিসারকে বদলি করে দিয়েছে কেন্দ্র। সিআরপিএফের চিঠিতে সেই বিষয়টিও উল্লেখ করে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করার কথা বলা হয়েছে। যদিও রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, রাজ্যে কোনও ভিআইপি এলে তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসনকে রুটিন চিঠি পাঠানো হয়। এই চিঠিও সেই রকমই।
অন্য দিকে শনিবার অমিত শাহের সভাতেই শুভেন্দু অধিকারী যোগ দেবেন কিনা, সেই আলোচনাতেই মশগুল রাজ্য নেতৃত্ব। মশগুল মেদিনীপুরও। সেই ভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের নেতারা অবশ্য এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। রাজ্য থেকে জেলা নেতৃত্বের বক্তব্য, অনেকেই যোগ দেবেন। তালিকায় কারা? সেখানে অবশ্য ‘সাসপেন্স’ জিইয়ে রাখছেন নেতারা।
‘সাসপেন্স’ যতই থাক, দলীয় নেতৃত্ব কিন্তু শুভেন্দুর শুভেন্দুর যোগদান ধরে নিয়েই এগোচ্ছেন। পাশাপাশি পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের বেশ কয়েকজন ওজনদার নেতার যোগদানের সম্ভাবনা। পাশাপাশি এই তিন জেলার বাইরেও কেউ কেউ যোগদান করতে পারেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির সভাপতি শমিত দাশ বলেন, শাহের সভায় বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা যোগদান করবেন। তবে তাঁরা কারা, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্পষ্ট কিছু জানাননি।
তৃণমূল অবশ্য এই দলবদল বা দলত্যাগকে পাত্তা না দেওয়ার ভান করছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘কে দল ছাড়ল তা নিয়ে মাথা ব্যথার কিছু নেই। যাঁরা পদে থেকেও কাজ করছেন না, তাঁরা ছেড়ে গেলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।’’
শনিবার দিনভর কর্মসূচি নিয়ে মেদিনীপুরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মূল লক্ষ্য জনসভা হলেও তিনি শহরের দর্শনীয় স্থান গুলি ঘুরে দেখবেন। পুলিশ প্রশাসন ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে কলকাতা বা কলাইকুণ্ডা হয়ে হেলিকপ্টারে করে অমিত শাহ আসবেন মেদিনীপুরে। দুপুর ১২টা নাগাদ তার আসার কথা। সেখান থেকে সড়ক পথে হবিবপুরে ক্ষুদিরামের মাসির বাড়িতে যাবেন। ক্ষুদিরামের মূর্তিতে মাল্যদান করবেন। সেই মতো পরিবারের এক সদস্যর সাথে কথা বলে রেখেছেন বিজেপির জেলা নেতারা। একটি মঞ্চ তৈরি হচ্ছে সেখানে। তার ঠিক উল্টো দিকেই রয়েছে সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির। সেই মন্দিরে পুজো দেবেন তিনি। সেখান থেকে যাবেন ৯ কিমি দূরে কর্ণগড় মন্দিরে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
একই সঙ্গে আগের বারের বাঁকুড়া সফরের মতো পশ্চিম মেদিনীপুরেও থাকছে ভোজন রাজনীতি। বেনাজুরি গ্রামে স্থানীয় বিজেপি কর্মী সনাতন সিংহের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন শাহ। দুপুর আড়াইটে নাগাদ মঞ্চে ওঠার কথা। আর সেই সভার দিকেই এখন নজর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
অন্য দিকে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়ার পর থেকে তিন জেলায় তাঁর অনুগামীরাও দল ছাড়তে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবারও তৃণমূল-ত্যাগীর তালিকায় নাম লিখিয়েছেন দুলাল মণ্ডল। তিনি কিষান ক্ষেতমজুর সেলের জেলা সভাপতি ছিলেন। তৃণমূল ছাড়ার পাশাপাশি গলায় শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার নিয়ে বৈঠকও করেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy