অভিযুক্ত রামপদ মান্না। নিজস্ব চিত্র।
লক্ষ্মীপুজোর সকালে তমলুকের দুই প্রান্ত থেকে মিলেছিল দুই তরুণীর মুণ্ডহীন দেহ। এই ঘটনায় গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে বাগুইআটি থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম রামপদ মান্না। বয়স বছর পঁয়তাল্লিশেক। তার বাড়ি তমলুকের গড়কিল্লা গ্রামেও হলেও কাজ করে কলকাতার বাগুইআটির একটি সেলুনে।
এ দিন রামপদকে সঙ্গে নিয়ে দুই তরুণীর কাটা মুণ্ডের সন্ধানে নামে পুলিশ। অভিযুক্ত নিজেই পুলিশকে জানায়, তার বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি খালে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে কাটা মুণ্ড। এর পর পুলিশ তাকে সঙ্গে করে গড়কিল্লার পাশে উত্তর রসুলপুর গ্রামের সেই খালের জলে তল্লাশি চালায়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই কচুরিপানার একটি ঝোপের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় একটি কাটা মুণ্ড।
গড়কিল্লার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রামপদ তমলুকের একটি সেলুনে কাজ করত। বছর পাঁচেক আগে সে তমলুক ছেড়ে তার তিন মেয়ে এবং স্ত্রীর সঙ্গে বাগুইআটিতে এসে থাকতে শুরু করে। এখানে এসে বাগুইআটির একটি সেলুনে কাজ করত রামপদ। হঠাৎ করে সে এই ধরনের কাণ্ড কেন ঘটাল তা নিয়ে ধন্দে পুলিশও। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বাবা চণ্ডীচরণ মান্না, মা সাবিত্রী মান্না এবং শ্বশুর, শাশুড়িকেও আটক করেছে পুলিশ।
তমলুক শহর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে গ়ড়কিল্লা গ্রাম। গত শনিবার সকাল পৌনে আটটা নাগাদ রামপদ’র বাবা চণ্ডীচরণ মান্নার পান বরজের মধ্যে তরুণীর মুণ্ডহীন দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনা জানাজানি হতেই কয়েকশো লোক জড়ো হয়ে যায়।
ওই তরুণীকে গ্রামেই খুন করা হয়েছে না খুনের পরে দেহটি আনা হয়েছে, তা পুলিশের কাছেও স্পষ্ট ছিল না। কিন্তু রামপদকে জিজ্ঞাসা করে সব কিছু জানা যাবে বলে আশাবাদী পুলিশ। নন্দীগ্রামের মনুচক জালপাই গ্রাম থেকে সে দিনই মিলেছিল আর এক তরুণীর মুণ্ডহীন দেহ। রাস্তার ধারে ঝোপের মধ্যে বস্তাবন্দি ছিল দেহটি। বস্তা থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। তাতেই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। পুলিশ এসে বস্তা খুলে দেখে, ভেতরে এক তরুণীর মুণ্ডহীন বিকৃত দেহ।
আরও পড়ুন: সিআইডি-র হাতে তদন্ত যেতেই গ্রেফতার মিতার শাশুড়ি-দেওর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy