পাশে: রাজকুমারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মান্নান। নিজস্ব চিত্র
প্রিসাইডিং অফিসার তথা শিক্ষক রাজকুমার রায়ের রহস্যজনক মৃত্যুর নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জোরদার হচ্ছে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে রাজকুমারবাবুর মা অন্নদা রায়ের তরফে সিবিআই তদন্ত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষাঅনুরাগী ঐক্যমঞ্চের তরফে বিষয়টি তদারকি করা হয়। হাইকোর্ট ‘রিট পিটিশন’ গ্রহণ করেছে বলে মঞ্চের দাবি। সেই সঙ্গে রাজকুমারবাবুর মৃতদেহের পুনরায় ময়নাতদন্ত চেয়েছেন তাঁর মা এবং পরিবারও। পরিবারের হয়ে মঞ্চই মামলাটিতে সাহায্য করছে।
রাজকুমারবাবু ১৪ মে নির্বাচনের কাজে ইটাহারে গিয়েছিলেন। সে দিন রাত ৮ টার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা নাগাদ রেল লাইনের উপর থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনার তদন্ত ভার পরদিন থেকে সিআইডি’কে দেওয়া হয়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত পরিষ্কার করে কিছু জানানো হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টও পরিবারকে দিতে টালবাহানা করা হয় বলে দাবি। তা নিয়েই সন্দেহ বেড়েছে।
শুক্রবার রায়গঞ্জে সুদর্শনপুরে এবং পরে শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ায় রাজকুমারবাবুর পৈতৃক বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, সুখবিলাস বর্মা, মোহিত সেনগুপ্তরা। ঘটনা প্রকৃত তদন্ত দাবি করেন। রাজকুমারবাবুর স্ত্রী অর্পিতাদেবী বলেন, ‘‘আমরা চাই সত্যটা সামনে আসুক।’’ পরিবারের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট যা দেওয়া হয়েছে, তাতে স্পষ্ট নয় মৃত্যুর কারণ। তাতে বলা হয়েছে আঘাতের জন্য মৃত্যু হয়েছে। আঘাতগুলো ভারি চলমান কিছুর। পুনরায় ময়নাতদন্ত চেয়ে অর্পিতাদেবীও সম্প্রতি জেলাশাসকের কাছে আবেদন করেছিলেন।
মঞ্চের তরফে যুগ্ম সম্পাদক ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রাজকুমারবাবুর মা হাইকোর্টে মামলার রিট পিটিশন করেছেন। ২৭ জুন তা ‘তালিকাভুক্ত’ হলে শুনানির কথাও রয়েছে।’’
এ দিন আব্দুল মান্নান বলেন, ‘‘শাসকদলের দুষ্কৃতীরাই রাজকুমারবাবুকে খুন করেছে।’’ যা শুনে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি অমল আচার্য বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেই রাজকুমারবাবুর স্ত্রীকে ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন। বিরোধীরা ওই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy