নিকাশির হাল।—নিজস্ব চিত্র।
রাস্তা-নিকাশি বেহাল। পানীয় জল সরবরাহে ঘাটতি। চিকিৎসা ব্যবস্থাও তলানিতে।
দীর্ঘ দিন ধরেই বাম পরিচালিত বালি পুরসভার বিরুদ্ধে পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন বালির তৃণমূল নেতারা। উন্নত নাগরিক পরিষেবার লক্ষ্যে সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়া পুকসভার সঙ্গে বালি পুরসভাকে মিলিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বেহাল নাগরিক পরিষেবার অভিযোগ তুলে বালির সিপিএম পুরপ্রধানের পদত্যাগ দাবি করে রাস্তায় নামলেন তৃণমূল-কর্মীরা।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বালি পুরসভার সামনে প্রতিবাদী সভার আয়োজন করে স্থানীয় তৃণমূল। প্রায় দু’ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হয় চেয়ারম্যান অরুণাভ লাহিড়ীকেও। পরে তাঁর কাছে ডেপুটেশন জমা দেন বিরোধীরা। বালি পুরসভার বিরোধী দলনেতা রেয়াজ আহমেদ বলেন, “বহু বার নাগরিক পরিষেবা নিয়ে আবেদন করেও কাজ হয়নি। তাই রাস্তায় নামতে হয়েছে।”
অভিযোগ, জলের পাইপলাইন বসানোর জন্য বালির অধিকাংশ রাস্তাই এক সঙ্গে কেএমডিএ-র তরফে খোঁড়া হয়েছে। কাজ শেষেও রাস্তা মেরামতি হয়নি। দু’দিনের বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলি বিপজ্জনক আকার নিয়েছে, ঘটছে দুর্ঘটনা। আরও অভিযোগ, রাস্তা খুঁড়তে গিয়ে ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে জলের পাইপ। বাসিন্দাদের দাবি, এক বছর আগে পাইপ বসানোর জন্য রাস্তা খোঁড়া হয়েছিল। আবার কেন রাস্তা খুঁড়ল, বোঝা যাচ্ছে না। এর পিছনে অসাধু উদ্দেশ্য রয়েছে বলেই মনে করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।
চেয়ারম্যান অরুণাভবাবুর দাবি, “এক বছর আগে রাস্তায় কিছুটা কাজ হয়েছে, এখন অন্য কাজ হচ্ছে।” রাস্তা এতটা বেহাল হওয়ার জন্য দু’দিনের আচমকা বৃষ্টিকেই দায়ী করছেন পুরপ্রধান।
তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতা ভাস্করগোপাল চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “নিয়মিত নালা সাফ হচ্ছে না বলেই অল্প বৃষ্টিতে জল জমে গেল।” তাঁর আরও অভিযোগ, পুরসভা পরিচালিত দু’টি মাতৃসদনের একটিতেও চিকিৎসা পাওয়া যায় না, চিকিৎসকও নেই। আবার বালির কেদারনাথ অরোগ্য ভবন হাসপাতালে শিশুদের জন্য নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট থাকলেও তা দীর্ঘ দিন তালা বন্ধ।
অরুণাভবাবু অবশ্য এই সমস্ত অভিযোগের দায় নিতে নারাজ। তাঁর দাবি, “বৃষ্টির জন্য নালা সাফাইয়ে সাময়িক অসুবিধা হয়েছে। চিকিৎসা পরিষেবা যতটা দেওয়া সম্ভব, দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে অনুমোদিত পদের বাইরে চিকিৎসক দেওয়া সম্ভব নয়।” পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “অধিকাংশ জায়গাতেই সিপিএমের ক্ষমতা চলে যাচ্ছে বলে ওঁরা গা ছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছে। কিন্তু যেখানে ক্ষমতায় থাকবেন সেখানে তো কর্তব্য পালন করতেই হবে।” তিনি আরও বলেন, “টাকা না থাকলে তার জন্য আবেদন করতে হবে। বালির চেয়ারম্যানকে তো আমি চিনিই না। তিনি কখনও কোনও আবেদন নিয়ে আসেননি। ওঁর কাজের ইচ্ছাই নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy