Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪
ঘরে বাইরে

টাক নয়, চুল চাই

কী করে ফিরে পাবেন ঘন চুলের গোছা? পরামর্শ: চিকিৎসক সঞ্জয় ঘোষ।আঁচড়ালেই গোছা গোছা চুল ওঠে। চুল পড়া নিয়ে জেরবার অনেকেই। চুল কিন্তু এমনি এমনি পড়ে না। চিকিৎসক সঞ্জয় ঘোষ জানাচ্ছেন, অজস্র কারণ এর পেছনে। যেমন ডেলিভারির কিছু দিন পর কারও কারও প্রচুর চুল ওঠে। আবার জ্বর বা পেটের অসুখ হওয়ার কিছু দিন পরও চুল পড়তে পারে। চুল পড়ছে এই চিন্তা মাথায় ঢুকলে সমস্যা আরও বেড়ে যায় চিন্তায়।

রুমি গঙ্গোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৫ ০০:১৯
Share: Save:

আঁচড়ালেই গোছা গোছা চুল ওঠে। চুল পড়া নিয়ে জেরবার অনেকেই। চুল কিন্তু এমনি এমনি পড়ে না। চিকিৎসক সঞ্জয় ঘোষ জানাচ্ছেন, অজস্র কারণ এর পেছনে। যেমন ডেলিভারির কিছু দিন পর কারও কারও প্রচুর চুল ওঠে। আবার জ্বর বা পেটের অসুখ হওয়ার কিছু দিন পরও চুল পড়তে পারে। চুল পড়ছে এই চিন্তা মাথায় ঢুকলে সমস্যা আরও বেড়ে যায় চিন্তায়। আসলে যে কোনও স্ট্রেসের থেকে চুল উঠতে পারে। আজকের লাইফস্টাইল, জাঙ্ক ফুড সবই রয়েছে চুল ওঠার পেছনে। এই জন্যই ছেলেদের এখন কুড়ি-পঁচিশেই মাথা ফাঁকা হতে শুরু করে। আগে যেটা হত চল্লিশে! পিরিয়ডের সমস্যা থাকলে কিন্তু মেয়েদের চুল উঠতে পারে। সে ক্ষেত্রে আগে দরকার পিরিয়ডের সমস্যা মেটানো। রক্তে হিমোগ্লোবিন আর ফেরিটিনের মাত্রা কমে গেলে বা থাইরয়েডের গোলমাল থেকে চুল উঠতে পারে। আবার ছোট-বড় অনেকেরই মাথায় ছোট গোল করে টাক পড়ে যায় (টাকপোকা, তবে পোকা নয়)। পরে সেটা বড় হতে থাকে। পড়ার চাপ থেকে ছোটদের এমনটা হতে পারে। খুশকি থেকে চুলের গোড়া নষ্ট হয়ে চুল উঠতে পারে। আবার অনেকের স্ট্রেটনিং থেকে চুলের ক্ষতি হয়ে চুল পড়তে শুরু করে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, চুল এমনি এমনি ওঠে না। সমস্যা মেটাতে আগে কারণ খুঁজে বের করতে হবে।

চুল পড়া আটকাতে

বাচ্চা হওয়ার পর চুল পড়তে থাকলে প্রোটিন ( ডাল, সয়াবিন, ছানা) ফল, সব্জি বেশি করে খেতে হবে।

স্ট্রেসকে কোনও ভাবেই বাড়তে দেওয়া চলবে না।

ওজন যেন না বাড়ে। এক্সারসাইজ করবেন

খুস্কি থাকলে তেল ব্যাবহার করবেন না। প্রয়োজনে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন।

রোজ শ্যাম্পু না করাই ভাল। করলে মৃদু শ্যাম্পু (বেবি শ্যাম্পু) করুন।

নতুন কোনও ওষুধ খাওয়ার পর চুল উঠলে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারকে জানান।

খুব বেশি চুল পড়লে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ লাগাতে হবে।


স্বীকারোক্তি

নতুন চাকরি পেয়ে কালিম্পং-এ একটি হোটেলে গিয়ে উঠেছি। কাজের ফাঁকে সকলের সঙ্গে চুটিয়ে গল্প চলত। কয়েকদিনের মধ্যেই জলপাইগুড়িতে সুবীরদা (নাম পরিবর্তিত) সম্পর্কে একটা কথা শুনলাম। তিনি কখনও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেন না। অন্যের জিনিস ব্যবহার করাই ছিল তাঁর অভ্যাস। একদিন আমার ঘরে জানালার তাকে সুগন্ধী তেলের বোতলের তেল ফেলে বিশেষ রাসায়নিক রাখলাম। সুবীরদা কী করেন, নজরে রাখছিলাম। তিনি বোতল থেকে ওই তরল মাথায় মেখে স্নান করলেন। তিন দিনের মধ্যে তাঁর টাক পড়ে গেল। তখন বেশ মজা পেলেও এখন সে সব মনে পড়লে খারাপ লাগে।

কনকবসু রায়, জলপাইগুড়ি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE