নিয়োগ দুর্নীতির আর এক মামলায় এ বার সক্রিয়তা বাড়াল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হওয়া এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ইডির তালিকায় রয়েছেন এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হা, নিয়োগ দুর্নীতিতে মিডলম্যান হিসাবে কাজ করায় অভিযুক্ত প্রসন্ন রায়, চন্দন মন্ডলও।
ইডির একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সুবীরেশদের আর্থিক লেনদেনের তথ্য জানতে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক এবং দফতরের কাছে নথি চেয়ে পাঠিয়েছেন তদন্তকারীরা। নিয়োগ দুর্নীতির অপর একটি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন এঁরা। বর্তমানে তাঁরা বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। সিবিআইয়ের তরফে যেমন রাজ্যে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, অপর তদন্তকারী সংস্থা ইডি দুর্নীতিতে কোনও বেআইনি লেনদেন হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চাইছে।
ইডির এই সংক্রান্ত মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ইডি এই মামলার অতিরিক্ত চার্জশিটে যুক্ত করেছে মানিকের স্ত্রী, পুত্র এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত তাপস মণ্ডলকে। এই মামলাতেও এ বার তৎপরতা বাড়াতে চাইছেন ইডির তদন্তকারীরা। খুব দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতে পারেন ইডি কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশকে নিজাম প্যালেসে তলব করে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। আদালতে ইতিমধ্যেই তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সুবীরেশ এসএসসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন তাঁর নির্দেশেই কিছু নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থীর মার্কশিটের নম্বর বদল করা হয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সিবিআইকে সহযোগিতা না করার অভিযোগও আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর টানা জেরার পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। ২০১০ সাল থেকে টানা প্রায় ১০ বছর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি থাকাকালীন শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে কল্যাণময়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy