ঝাড়গ্রামে ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য দুর্নীতির তদন্তে ফের সক্রিয় হল ইডি। মঙ্গলবার সকালেই একসঙ্গে রাজ্যের চার প্রান্তের চার জেলায় হানা দেন ইডির আধিকারিকেরা। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের এক সরকারি আধিকারিকের কোয়ার্টারে, হুগলির চুঁচুড়ায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে এবং মুর্শিদাবাদের একটি বাড়িতে এবং উত্তর ২৪ পরগনার সল্টলেকের একটি আবাসনে তল্লাশি চলছে। সেই সঙ্গে তল্লাশি চলছে সল্টলেকের একটি আবাসনেও।
ইডি সূত্রে খবর, ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতির তদন্তে এই তল্লাশি অভিযান চলছে। ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আগেই এই দুর্নীতির বিষয়ে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানায় দু’টি এবং হুগলির ধনেখালি থানায় একটি এফআইআর দায়ের হয়। তা ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য থানায় দু’টি এফআইআর দায়ের হয়। মোট পাঁচটি এফআইআর-এর ভিত্তিতে ইসিআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে ইডি। প্রসঙ্গত, এই প্রথম এই বিষয়ের তদন্তে নামল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।
মঙ্গলবার সকালে জানা যায়, ঝাড়গ্রামের একটি সরকারি আবাসনে হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। পরে জানা যায়, জেলার সংখ্যালঘু দফতরের এক প্রশাসনিক আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ইডি। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ ইডির ছ’জন আধিকারিকের একটি দল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হানা দেন ওই আধিকারিকের সরকারি আবাসনে। ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবা এলাকায় রয়েছে ওই আবাসন। ওই আবাসন ঘিরে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ খবর পেয়ে এলাকায় যান। কিন্তু পুলিশ আধিকারিকদের আবাসনের ভিতর ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ইডি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে ‘দুর্নীতি’র বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে তারা।
ঝাড়গ্রামের পাশাপাশি তল্লাশি চলছে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে এক বহিষ্কৃত পঞ্চায়েতকর্মী রথীন দে-র বাড়িতে। তল্লাশি চলছে চুঁচুড়ার ময়নাডাঙায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও। জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর নাম সন্দীপ সাধুখাঁ। তাঁর একটি লজেন্স কারখানা রয়েছে। সল্টলেকের যে আবাসনে তল্লাশি চলছে, সেটিতে ধনেখালির প্রাক্তন বিডিও এসকে পান থাকেন বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে তারা আগেই তদন্ত শুরু করেছিল। তদন্তে দেখা যায়, ১০০ দিনের কাজে যে কোটি কোটি টাকার কেন্দ্রীয় বরাদ্দ এসেছিল, তা নয়ছয় করা হয়েছে। টাকা নয়ছয় করতে ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করা হয়েছিল বলে তদন্তকারী সংস্থাটি সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy