প্রতীকী ছবি।
মোবাইল অ্যাপ প্রতারণা মামলায় কলকাতা থেকে নগদ দেড় কোটি টাকারও বেশি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তারা জানিয়েছে, নগদের পাশাপাশি প্রায় ৭ কোটি টাকা মূল্যের বিটকয়েনও ফ্রিজ় করা হয়েছে। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত উল্টোডাঙা এলাকার একটি বহুতলে উমেশ আগরওয়াল নামে এক ব্যবসায়ীর অফিসে অভিযান চালায় ইডি।
তদন্তকারীরা জানান, উমেশের সঙ্গে অ্যাপ প্রতারণা মামলার চাঁই আমির খানের ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে। তবে উমেশের হদিস মেলেনি। তাঁর ছেলে রুমেল আগরওয়ালকে গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। উমেশ কোথায় যেতে পারেন তাও জানার চেষ্টা হচ্ছে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর গার্ডেনরিচের বাসিন্দা আমির খানের বাড়ি থেকে প্রায় ১৭ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি। সে সময় আমিরের খোঁজ মেলেনি। অ্যাপ প্রতারণায় আমিরের বিরুদ্ধে পার্ক স্ট্রিট থানায় মামলা দায়ের হলেও কলকাতা পুলিশ কার্যত তদন্ত না-করে বসে ছিল। ইডি-র হানার পর লালবাজার তৎপর হয়ে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে আমিরকে গ্রেফতার করে। আমিরের বিরুদ্ধে প্রতারণার টাকা বিদেশে পাচারের তদন্ত করছে ইডি। সেই সূত্রেই উমেশের সঙ্গে যোগসাজশ মিলেছে। অভিযোগ, আমির বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে টাকা পাচার করেছেন। উমেশের জিম্মা থেকেও বিটকয়েন মেলায় দু’জনের যোগসাজশের প্রমাণ মিলেছে বলে একটি সূত্রের দাবি।
ইডি-র সন্দেহ, প্রভাবশালীদের কালো টাকা বিদেশে পাচারেও আমিরের যোগ থাকতে পারে। বন্দর এলাকার এক কাউন্সিলরের সঙ্গে আমিরের যোগ রয়েছে বলে ইডি জেনেছে। ওই কাউন্সিলর আবার রাজ্যের এক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ। তাই ওই কাউন্সিলরও ইডি-র নজরে আছেন। সূত্রের খবর, কাউন্সিলরকে তাঁর বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি নিয়ে আগামী সপ্তাহে ইডি অফিসে হাজির হতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy