শাহজাহান শেখ। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শাহজাহান শেখকে নিজেদের হেফাজতে নিতে তৎপর ইডি। সোমবার এ ব্যাপারে কলকাতার বিশেষ ইডি আদালতের দ্বারস্থও হয়েছে তারা। আদালত সূত্রের খবর, সোমবার বিকেল ৪টের মধ্যে শাহজাহানকে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ, এই বিষয়টি যাতে জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয় এবং জেল কর্তৃপক্ষ যাতে শাহজাহানকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আদালতে হাজির করাতে পারে।
ইতিমধ্যেই সিবিআই মামলায় বসিরহাট সংশোধনাগারে থাকা শাহজাহানকে গ্রেফতার দেখিয়েছে (শোন অ্যারেস্ট) ইডি। সোমবার আদালতে ইডি দাবি করেছে, কিছু নথি দেখিয়ে জেরা করার সময় তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন শাহজাহান। প্রশ্নও এড়িয়ে গিয়েছেন। এ ছাড়াও তদন্তে বেশ কয়েকটি নতুন নাম উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা না হলে, যাঁদের নাম উঠে এসেছে, তাঁরা পালিয়ে যেতে পারেন বা নাগালের বাইরে চলে যেতে পারেন বলে আদলতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইডি।
শাহজাহানের বিরুদ্ধে ইডির তরফে দু’টি ইসিআইআর (এনফোর্সমেন্ট কেস ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট) রয়েছে। একটি রেশন বণ্টন দুর্নীতি এবং আর একটি বেআইনি ভাবে জমি দখল ও মাছ চাষ। এমনকি মাছ আমদানি-রফতানির মাধ্যমে বিদেশে কোটি কোটি টাকা বেআইনি লেনদেনের মামলাও রয়েছে। গত শুক্রবার সিবিআইয়ের হেফাজত থেকে শাহজাহানকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। শনিবার সকালে বসিরহাট আদালতে বেআইনি ভাবে জমি দখল এবং মাছ আমদানি রফতানি ব্যবসার মামলায় শাহজাহানকে সংশোধনাগারে গিয়ে জেরা করার আবেদন করেন ইডির আইনজীবীরা। আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করে। এর পরেই শনিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত শাহজাহানকে সংশোধনাগারে গিয়ে জেরা করেন ইডির তদন্তকারীরা।
তদন্তকারীদের দাবি, বেআইনি ভাবে জমি দখল এবং রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় কোটি কোটি কালো টাকা বিদেশে পাচার এবং বেআইনি ভাবে সম্পত্তি কেনা এবং ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়েছিল। দু’টি ক্ষেত্রেই শাহজাহানের জড়িত থাকার যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy