—প্রতীকী ছবি।
রেশনে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম। প্রতিদিন নানা নতুন তথ্য সামনে আসছে। এই আবহে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের শেষ থেকে এ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে প্রায় আট লক্ষ ২৬ হাজার রেশন কার্ড বাতিল (কার্ড ব্লক করে খাদ্য সামগ্রী বরাদ্দ বন্ধ) হয়েছে। ঘটনাচক্রে, ওই বছরেই খাদ্য দফতর থেকে সরিয়ে জ্যোতিপ্রিয়কে বন দফতরের মন্ত্রী করা হয়েছিল।
রেশন কার্ডে জালিয়াতি রুখতে বছর কয়েক আগে ডিজিটাল রেশন কার্ড চালু করেছে খাদ্য দফতর। ‘ভুয়ো’ এবং ‘অস্তিত্বহীন’ রেশন কার্ড চিহ্নিত করে সেগুলি ‘ব্লক’ করার কাজও সেই সময় থেকে শুরু হয়। সূত্রের খবর, গত দু’বছরে মুর্শিদাবাদে প্রায় আট লক্ষ ২৬ হাজার এমন রেশন কার্ড ‘ব্লক’ করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নামে থাকা কার্ড, এক ব্যক্তির নামে থাকা একাধিক কার্ড এবং আধার কার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত না হওয়া রেশন কার্ডগুলি চিহ্নিত করে ব্লক করা হয়। জেলা খাদ্য নিয়ামক সুদীপ্ত সামন্ত বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয়, ‘কেওয়াইসি’ জমা না-পড়া বা মৃত ব্যক্তির নামে থাকা রেশন কার্ড ব্লক করা হচ্ছে। ওই সব কার্ডে খাদ্য সামগ্রী বরাদ্দ হয় না।’’
যদিও এ নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিজেপির বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে ওই সব রেশন কার্ড বাতিল হওয়ার আগে পর্যন্ত তার খাদ্য সামগ্রী তৃণমূলের ঘরে ঢুকেছে। রেশন দুর্নীতিতে এই জেলার অনেক তৃণমূল নেতা ও রেশন ডিলার ইডি-র নজরে রয়েছে বলেও খবর পাচ্ছি।’’ জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছি, বাকিবুর রহমানের (রেশন দুর্নীতিতে ধৃত ব্যবসায়ী) দুর্নীতির জাল মুর্শিদাবাদেও বিস্তার করেছে। তাকে তৃণমূলের যারা এ কাজে সাহায্য করেছে, ইডি তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিক।’’
জেলা তৃণমূলের নেতা অশোক দাস অবশ্য বলছেন, ‘‘আমাদের সরকার স্বচ্ছ বলেই এত রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে। রাজ্য সরকার প্রতি বাড়িতে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে। কোথাও রেশন সামগ্রী না পাওয়ার অভিযোগ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy