ঝৃত পঙ্কজ গাদিয়া।
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রাজ্যে বড়সড় জঙ্গি হানার সতর্কবার্তা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। স্বাধীনতা দিবস নির্বিঘ্নে কাটলেও তার পরের দিনই খাস কলকাতা থেকে উদ্ধার হল ২২ বস্তা বিস্ফোরক! রবিবার রঘুনাথগঞ্জ ও সিআইডি-র যৌথ অভিযানে স্ট্র্যান্ড রোডে একটি বহুতলের একতলার গুদামঘর থেকে ওই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়।
সিআইডি সূত্রের খবর, গত ৮ অগস্ট মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থেকে ৭০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন বা জেএমবি (জামাতে মুজাহিদিন বাংলাদেশ)-র দু’জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। আখরুল শেখ (২৬) ও রবিউল শেখ (২৫) নামে ওই দুই জঙ্গি আসলে জেএমবি-র লিঙ্কম্যান— এমনটাই দাবি পুলিশের। তাদের জেরা করে পুলিশ গত শুক্রবার জোড়াবাগান থানা এলাকা থেকে পঙ্কজ গাদিয়া নামে এক জনকে গ্রেফতার করে। পঙ্কজের বাড়ি ওড়িশার জাজপুরে। পঙ্কজকে জেরা করেই স্ট্র্যান্ড রোডের বহুতলে বিস্ফোরকের হদিস মেলে।
জোড়াবাগানের ওই ছ’তলা বহুতলের একতলায় একটি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির গুদাম রয়েছে। গুদামের মালিক সুশান্ত পাড়িয়ার খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু করেছে সিআইডি।
উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক।
এ দিন দুপুরে রঘুনাথগঞ্জ থানা ও সিআইডি আধিকারিকেরা যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে ওই গুদামঘর থেকে মোট ২২ বস্তা বিস্ফোরক উদ্ধার করে। সূত্রের খবর, মোট ১১২০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৫ কুইন্টাল সালফার, ২০ কেজি অ্যালুমিনিয়াম পাইডার এবং ৬ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট।
আগামিকাল পঙ্কজকে রঘুনাথগঞ্জ আদালতে তোলা হবে। প্রাথমিক তদন্তে সিআইডি-র অনুমান, ওড়িশা থেকে বিস্ফোরক আসত কলকাতার ওই বহুতলে। এর পর তা পাঠানো হতো রঘুনাথগঞ্জে। কী কারণে এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত করা হচ্ছিল তা নিয়ে এখনও ধন্দে সিআইডি আধিকারিকেরা।
ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy