Advertisement
১৬ মে ২০২৪
Anti Corruption Bureau

এসিবির নজরে কিছু সরকারি অফিসারও

কয়েকশো সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে আয়-বহির্ভূত সম্পত্তি রাখার অভিযোগ জমা পড়েছে এসিবি-র কাছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে সেই সব অভিযোগের তদন্তও সেরে রেখেছেন গোয়েন্দারা।

আয় ও সম্পত্তির মধ্যে সামঞ্জস্যহীনতার অভিযোগ প্রশাসনের বেশ কিছু কর্তা-অফিসারের বিরুদ্ধেও।

আয় ও সম্পত্তির মধ্যে সামঞ্জস্যহীনতার অভিযোগ প্রশাসনের বেশ কিছু কর্তা-অফিসারের বিরুদ্ধেও। প্রতীকী ছবি।

শিবাজী দে সরকার
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:০৮
Share: Save:

আয় যত, বিষয়সম্পত্তি তার বহু গুণ। আয় ও সম্পত্তির এই সামঞ্জস্যহীনতার অভিযোগ শুধু কিছু নেতা-মন্ত্রী-প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধেই উঠছে না। পুলিশের পাশাপাশি সেই অভিযোগে বিদ্ধ প্রশাসনের বেশ কিছু কর্তা-অফিসারও। শিক্ষায় বাঁকা পথে নিয়োগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সম্পন্নদেরও বাড়ি-সহ নানা ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার রাজ্য সরকার নিজেদের সেই সব কর্মী-আধিকারিকের দুর্নীতি নিয়েও উদ্বিগ্ন বলে জানাচ্ছেন পুলিশকর্তারা। রাজ্য সরকার। এই অবস্থায় দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কর্মী-আধিকারিকদের বিরুদ্ধে গোপনে অভিযানে নেমেছে এসিবি বা রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখা।

কয়েকশো সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে আয়-বহির্ভূত সম্পত্তি রাখার অভিযোগ জমা পড়েছে এসিবি-র কাছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে সেই সব অভিযোগের তদন্তও সেরে রেখেছেন গোয়েন্দারা। সেই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে সরকারের কাছে। সরকারের অনুমোদন মিললেই পুলিশ, বিএলএলআরও, ব্লক স্তরের আধিকারিক, পুরসভার অফিসার-সহ বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করবে এসিবি।

এক তদন্তকারী জানান, চলতি মাসেই ১৭ জন সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন সম্পত্তির অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। তল্লাশিও চালানো হয়েছে তাঁদের বাড়িতে।

পুলিশি সূত্রের খবর, কর্মী-আধিকারিদের নিজস্ব বিভাগ থেকে অভিযোগ আসার পরেই প্রাথমিক তদন্ত শুরু হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, অভিযুক্ত বেশির ভাগ সরকারি কর্মী ও অফিসার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন বলে তদন্তে উঠে আসছে। এই অর্থ বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করা হচ্ছে। দুর্নীতির রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে নবান্নে। সেখান থেকেই প্রথম দফায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে ‘প্রিভেনশন অব করাপশন অ্যাক্টে’ মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তার আগে অভিযুক্তদের ডেকেও পাঠাচ্ছে এসিবি। ওই ১৭ জনের ক্ষেত্রে তা খতিয়ে দেখার পরেই তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। সেই তল্লাশিতে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সম্পত্তির খতিয়ান সংক্রান্ত নথি। জমা দেওয়া নথি এবং সম্পত্তির তালিকা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এক গোয়েন্দা অফিসার জানান, বাজেয়াপ্ত নথি বিশ্লেষণ করলে সম্পত্তির উৎস বোঝা যাবে। যাঁদের হিসেবে অসঙ্গতি থাকবে, তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

West Bengal ACB
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE