প্রতীকী ছবি।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রি নিয়েই তাঁরা কুয়েতে কাজ করতে গিয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রের সদ্য চালু করা নতুন একটি নিয়মের ফেরে বিষম বিপাকে পড়েছেন সেখানে কর্মরত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারেরা।
কিছু দিন আগেই জানানো হয়েছে, কুয়েতে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরি করতে হলে ভারতের ন্যাশনাল বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন বা এনবিএ-র শংসাপত্র পাওয়া কলেজের ডিগ্রি থাকতেই হবে। কলকাতায় এসে অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অব টেকনিক্যাল এডুকেশন বা এআইসিটিই-র চেয়ারম্যান অনিল সহস্রবুদ্ধেও দ্রুত এনবিএ-র মূল্যায়ন করাতে বলেছেন যাদবপুরকে।
শনিবার সহস্রবুদ্ধের সঙ্গে বৈঠক হয় যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের। উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন অন্য আধিকারিকেরাও। সহস্রবুদ্ধে জানিয়ে দেন, যাদবপুর-কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে যেন এই মূল্যায়নের জন্য আবেদন জমা দেন। এআইসিটিই ১৯৯৪ সালে এনবিএ তৈরি করে। দেশের প্রযুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পঠনপাঠন এবং মান যাচাইয়ের জন্যই গড়া হয় এনবিএ। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, আন্না বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন আইআইটি এখনও এনবিএ-র শংসাপত্র নেয়নি। সম্প্রতি এনবিএ-তে গিয়ে মূল্যায়ন করিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে নড়েচড়ে বসে যাদবপুর। তখন নানা প্রশ্ন উঠেছিল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেই। অন্যতম মূল প্রশ্ন, বিভিন্ন আইআইটি-ই যখন এই বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে না, যাদবপুর কেন উদ্যোগী হবে? কিন্তু সহস্রবুদ্ধে যাদবপুর-কর্তৃপক্ষকে স্পষ্ট ভাবেই জানিয়েছেন, এনবিএ মূল্যায়ন করাতেই হবে।
সহস্রবুদ্ধের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন যাদবপুরের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের প্রাক্তন ছাত্রেরা শুধু যে বিদেশে অসুবিধায় পড়ছেন তা-ই নয়। এনবিএ মূল্যায়ন না-কারলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন অনুদানও বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি নতুন পাঠ্যক্রম চালু, পাঠ্যক্রমের নাম বদল— ভবিষ্যতে এগুলো করতেও অসুবিধার মুখে পড়তে হবে।’’ কিন্তু পরিস্থিতি যা, তাতে ২০১৯ সালের আগে তাঁরা এই মূল্যায়নের জন্য আবেদন করতে পারছেন না বলেই জানালেন চিরঞ্জীববাবু।
আরও এক বছর দেরি কেন?
চিরঞ্জীববাবু জানান, আবেদন করার আগে এআইসিটিই-র নির্দেশ অনুযায়ী আগে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলির প্রথম বর্ষে একই রকম পাঠ্যসূচি চালু করতে হবে। সেই সম-পাঠ্যসূচি চলতি শিক্ষাবর্ষে চালু করবে যাদবপুর। তার পরে ২০১৯-’২০ শিক্ষাবর্ষে এনবিএ-র মূল্যায়নের জন্য আবেদন করা হবে। তিনি আরও জানান, এর আগে ২০১৪ সালে এই মূল্যায়নের জন্য যাদবপুর ৮০ লক্ষ টাকা ফি জমা দিয়ে আবেদন করেছিল। কিন্তু সেই সময়ের ‘হোক কলরব’ আন্দোলনের ধাক্কায় বিষয়টি নিয়ে যাদবপুর আর এগোতে পারেনি। আন্দোলন চলাকালীন যে-প্রশাসনিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, মূলত তার জন্যই আর এগোনো যায়নি। তবে সহস্রবুদ্ধে জানিয়ে দিয়েছেন, আগে জমা দেওয়া ৮০ লক্ষ টাকার ৮০ শতাংশ নতুন আবেদনের ফি-র সঙ্গে যোগ করে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy