চটশিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে চলতি মাসেই টাস্ক ফোর্স গড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। চটশিল্প সংক্রান্ত মন্ত্রিগোষ্ঠী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভদ্রেশ্বরের নর্থব্রুক জুট মিল-সহ বেশ কয়েকটি চটকলে সম্প্রতি শ্রমিক অসন্তোষ, এমনকী, হিংসার ঘটনাও ঘটেছে। চটকল মালিকদের একাংশের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের বেশ কিছু অভিযোগও পেয়েছে রাজ্য সরকার। প্রশাসন সূত্রের খবর, টাস্ক ফোর্স সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি মোকাবিলার উপায় সুপারিশ করবে।
গত মাসে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে নর্থব্রুক জুট মিলের এক উচ্চপদস্থ কর্তা খুন হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চটশিল্পের নানা সমস্যা আরও এক বার আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে। সম্প্রতি টাউন হলে এই নিয়ে মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন চটশিল্প সংক্রান্ত মন্ত্রিগোষ্ঠীর সদস্যেরা। সেখানে রাজ্যের অর্থ এবং শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র, পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তৎকালীন শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু হাজির ছিলেন। সরকারি সূত্রের খবর, চটকল মালিকদের একাংশের আর্থিক অনিয়মের কিছু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে ওই বৈঠকে জানান অমিতবাবু। এই বৈঠকের পরেই সিদ্ধান্ত হয়, টাস্ক ফোর্স গড়ে চটশিল্পের পরিস্থিতির মূল্যায়ন করা হবে।
কিন্তু চটকল মালিকদের সম্পর্কে কী ধরনের অভিযোগ পেয়েছে রাজ্য সরকার? প্রশাসনিক সূত্রের খবর, শ্রমিকদের বকেয়া প্রাপ্য না মেটানোর অভিযোগ রয়েছে অনেকেরই বিরুদ্ধে। তা ছাড়া, চটকলগুলির মালিকানা নিয়েও অনেক ক্ষেত্রেই অস্বচ্ছতা রয়েছে। কখনও কখনও চটকলের নাম বদল করে কর ফাঁকির পথ নেওয়া হয়েছে।
চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সঞ্জয় কাজারিয়াও সংগঠনের বর্তমান চেয়ারম্যান রাঘব গুপ্তকে এক চিঠিতে অভিযোগ করেছেন, অনেক চটকল মালিক শ্রমিকদের ঠকাচ্ছেন। চুক্তি অনুসারে প্রাপ্য বেতন ও মহার্ঘ ভাতা বাবদ শ্রমিকদের দিচ্ছেন না। তিনি লিখেছেন, “আমরা যদি শ্রমিকদের বকেয়া প্রাপ্য ও সম্পূর্ণ বেতন নিশ্চিত না করি, তা হলে নর্থব্রুক কারখানার মতো দুঃখজনক ঘটনা আবারও ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।”
রাঘববাবু অবশ্য এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, মালিকরা ২০০৫-এর চুক্তি মেনেই শ্রমিকদের প্রাপ্য মেটাচ্ছেন। তবে সরকারের টাস্ক ফোর্স গড়ার ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। কেন্দ্রীয় শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে আইএনটিইউসি-র গণেশ সরকার বলেন, “বাম আমলে বহু বার মালিকদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তুলেও কিছু হয়নি। দেখা যাক, এ বার কী হয়। আমরা আশাবাদী।”
ডাক্তারি পড়ার জন্য স্কলারশিপ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
নিম্নবিত্ত পরিবারের যে ছাত্রছাত্রীরা ডাক্তারি পড়তে চায়, তাদের আর্থিক সহায়তার জন্য ‘উদয়ের পথে’ স্কলারশিপ দিচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সেস। দুই স্তরের পড়ুয়ারা এই বৃত্তি পাবে। যারা এ বছর ৯০ শতাংশ বা তার বেশি পেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশ করে জীবনবিজ্ঞান-সহ বিজ্ঞান নিয়ে ভর্তি হয়েছে, তাদের জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দু’বছরের বৃত্তি দেওয়া হবে। আর যারা এ বছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ১০০০ র্যাঙ্কের মধ্যে রয়েছে, তাদের দেওয়া হবে এমবিবিএস পড়ার জন্য সাড়ে চার বছরের স্কলারশিপ।
সাদা কাগজে আবেদন করতে হবে, সঙ্গে দিতে হবে মার্কশিটের কপি, পরিবারের আয়ের শংসাপত্র, এবং বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের সুপারিশ পত্র। সেই সঙ্গে ২৫০ শব্দের একটি রচনা লিখতে হবে, যার বিষয়, “কেন আমি ‘উদয়ের পথে’ বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য।” প্রতিষ্ঠানের তরফে অক্ষয় মোহান্তি জানালেন, পশ্চিমবঙ্গের নানা জেলার ৩৪জন ছাত্রছাত্রী বর্তমানে এই বৃত্তি পেয়ে এমবিবিএস পড়ছেন। বিশদ জানতে যোগাযোগ: ৯০০৭০৯৪৮৬০, ০৩৩-৭১২২ ২২২২।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy