উপকূলে টহলদারির জন্য প্রথম দ্রুতগতির জলযান নির্মাণের কাজ শেষ করল গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (জিআরএসই)। শনিবার সেই জলযানটিকে প্রথম জলে নামানো হয়েছে। তবে এখনই জাহাজটিকে হাতে পাচ্ছে না উপকূলরক্ষী বাহিনী। তাদের মুখপাত্র ডেপুটি কম্যান্ডান্ট অভিনন্দন মিত্র শনিবার জানান, জাহাজটিতে অস্ত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ বসিয়ে মহড়া দেওয়া হবে। তার পর আনুষ্ঠানিক রীতি মেনে সেটিকে বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বাহিনী সূত্রের খবর, নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নিশ্ছিদ্র করতে দ্রুতগতির জলযানের প্রয়োজন ছিল। তাই ২০১৬ সালে জিআরএসই-কে পাঁচটি জলযানের বরাত দেওয়া হয়। তার মধ্যে এটিই প্রথম জলে নামল। গত ১৫ মে এর নির্মাণ শুরু হয়েছিল। সাড়ে সাত মাসের মধ্যেই কাজ শেষ। এ বার ‘ফিনিশিং টাচ’ দেওয়া বাকি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানাচ্ছে, শুধু দ্রুত উৎপাদন নয়, উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ নির্মাণে এই কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে উঠে এসেছে। অভিনন্দনবাবু জানান, ৫০ মিটার লম্বা এই জলযানে ৩টি ইঞ্জিন, উন্নত মানের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও একটি ছোট, শক্তিশালী কামান থাকবে। ৩৫ জনকে বহনে সক্ষম এই জলযান ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৪ নটিক্যাল মাইল বেগে ছুটতে পারবে।
নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর সূত্র জানাচ্ছে, বাংলাদেশ লাগোয়া পূর্ব উপকূল নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি আল কায়দা এ রাজ্যে হামলা চালানোর যে ভিডিও প্রকাশ করেছে, তার পরে এই গুরুত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে। নৌসেনার এক কর্তা মনে করিয়ে দেন, ‘‘মুম্বই হামলার সময় কাসভরা সাগরপথেই মুম্বইয়ে ঢুকেছিল। ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy