ফাইল ছবি।
গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এর ভোট আগামী জুনে হবে। সোমবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশন এ কথা জানিয়েছে। তবে ভোটের দিন ক্ষণ ঘোষণা না হলেও, নির্বাচন নিয়ে তেতে উঠতে শুরু করেছে পাহাড়। কেউ সরাসরি ভোটের সমর্থনে লড়াইয়ে নামার তোড়জোড় করছে, তো কেউ আবার ভোটের আগেই চাইছে পাহাড় সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান।
একদা যে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নিজেকে পাহাড়ের মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে তুলে ধরে রাজ্য ও কেন্দ্রের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক জিটিএ চুক্তিতে সই করেছিল, আজ তাদের পথ বদলে গিয়েছে পুরোপুরি। প্রথমে আলাদা রাজ্যের দাবি করলেও, বর্তমানে সেই অবস্থা থেকে সরে এসে পাহাড় সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান চাইছেন বিমল গুরুংরা। সে জন্য জিটিএ-কে আরও শক্তিশালী করার দাবি করছে মোর্চা। তাঁদের দাবি, আগে জিটিএ-কে আরও ক্ষমতা দেওয়া হোক, তার পর জিটিএর ভোট হবে। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘‘আমাদের দাবি জিটিএ-কে আরও শক্তিশালী করার পর নির্বাচন করা হোক। আমরা এখনও সেই সিদ্ধান্তে অনড় আছি। রাজ্য না মানলে আগামীর পদক্ষেপ দল নির্ধারণ করবে।’’
জিটিএ নির্বাচনের প্রসঙ্গে হামরো পার্টির মুখপাত্র প্রমস্কর ব্লন বলেন, ‘‘আমরা জিটিএ-র পক্ষে নই ঠিকই, কিন্তু যদি নির্বাচন হয়, তা হলে হামরো পার্টি সেই নির্বাচনে অংশ নেবে।’’
অন্য দিকে, ভারতীয় গোর্খা সুরক্ষা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা এসপি শর্মা বলেন , ‘‘জিটিএ নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকারকে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমাধান করে দিতে হবে। না হলে পাহাড়বাসীর ক্ষোভ আরও বাড়বে। আমরা কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াব। নির্বাচনের আগেই সমাধান চাই। আগামীর পরিকল্পনা জানিয়ে দেব।’’
ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনিত থাপার দাবি, জিটিএ যখন এখনও বর্তমান, তখন তার ভোট হওয়াও স্বাভাবিক। জিটিএ ভোট মিটলে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে আলোচনা করা যাবে বলেও জানিয়েছিলেন অনিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy