Advertisement
০২ জুন ২০২৪
Abhijit Gangopadhyay

Justice Abhijit Gangopadhyay: কাশ্মীরে ঘুরতে গিয়ে হেনস্থা! অমিত শাহকে চিঠি দিতে পারেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

কাশ্মীরে ঘুরতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, নিরাপত্তায় গাফিলতি দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২২ ২০:৫৭
Share: Save:

গরমের ছুটিতে ঘুরতে গিয়ে কাশ্মীরে ‘হেনস্থা'র শিকার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি। আদালতের ছুটিতে লাদাখ ঘুরতে যান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেই তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিতে পারেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার বিচারপতি এজলাসে শুনানি চলাকালীন নিজের ঘুরে আসার অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নেন আইনজীবীদের সঙ্গে। তিনি জানান, লাদাখের দ্রাসে গিয়ে সমস্যা শুরু হয়। সেখানে দেখা যায় পুলিশের কেউ নেই। সাধারণত, রাস্তা চিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে কোনও বিচারপতির কনভয়ে জেলা বিচারক এবং পুলিশ থাকে। এ ক্ষেত্রে তার অন্যথা হওয়ায় বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ২৩ কিলোমিটার দূরে নিজেই থানায় যান বিচারপতি। থানায় দেখা যায় পুলিশ ঘুমোচ্ছে। বিচারপতির কথায়, ওই থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারকে জানানো হয় ওয়ার মেমোরিয়াল ঘুরে দেখানো হোক। ওই অফিসার জানান, প্রোটোকল মেনে সব রকম ব্যবস্থা করা হবে।

পুলিশ অফিসারের কথায় বিশ্বাস করে শ্রীনগরের দিকে রওনা হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, কিছু ক্ষণ পর জানতে পারি মিথ্যার শিকার হয়েছি। পরে স্থানীয় সোনমার্গ থানায় পুলিশের সাহায্য চাই। তারা জানায়, গাড়ি খারাপ সাহায্য করা সম্ভব নয়। অথচ থানায় গিয়ে দেখা যায় ২৮টি গাড়ি রয়েছে। আশ্চর্যজনক ভাবে তার মধ্যে একটি গাড়িও খারাপ না। অর্থাৎ সেখানেও মিথ্যা বলা হয়েছিল। বিচারপতির অনুমান, পরিকল্পনামাফিক তাঁর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এ ছাড়া এজলাসের মধ্যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও জানান, দেশ বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করেন দ্রাসের ওই পুলিশ অফিসার।

বিচারপতি কথায়, “ওই পুলিশ অফিসার শুধু খারাপ ব্যবহার করেছে বলেই এমন বলছি না। তাঁর সঙ্গে কথা বলে এমনটা জেনেছি। ওই পুলিশ অফিসার বলছেন, তুর্তুক আসলে পাকিস্তানের জায়গা। ভারত তা দখল করে রেখেছে। তিনি নিজেও তুর্তুকের বাসিন্দা।” শুধু পুলিশ অফিসার নন, খারাপ ব্যবহার করেছেন সরকারি অফিসারদের একাংশও। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, নিরাপত্তা ছাড়া সোনমার্গের হোটেলে রাত কাটিয়ে একাই আসেন শ্রীনগরে। জম্মু ও কাশ্মীরের হাই কোর্ট দেখতে চাইলে সহযোগিতা করা হয়নি। বাধ্য হয়ে ফেরত আসতে হয়।

বিচারপতি দাবি, হোটেলে একটি ১৩ হাজার টাকার রুম বরাদ্দ করা হয়েছে। অথচ সেখানকার পরিষেবা খুব নিম্নমানের। বলেছিলাম, রাস্তায় বসে থাকব। কিন্তু এত টাকার হোটেলে থাকব না। পরে তারা বাধ্য হয়ে মাত্র দেড় হাজার টাকায় তুলনামূলক ভাল রুমে রাখেন। এই পুরো ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দেবেন বলে জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এজলাসে তিনি বলেন, "কাশ্মীরের পরিস্থিতি এবং আমার সঙ্গে হওয়া দুর্ব্যবহার নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। তাই প্রথমে কলকাতা হাই কোর্টে প্রধান বিচারপতি, তার পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং শেষে অমিত শাহকে চিঠি লিখব।"

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

অন্য বিষয়গুলি:

Abhijit Gangopadhyay Harrasment police Amit Shah
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE