তিতাসের বায়না, বাপির সঙ্গে মার্কেটে যাবে। কিন্তু আন্টি পড়াতে আসবে। বারণ করতেই চেঁচামেচি, কান্না জুড়ে দিল তিতাস। ছুড়েছুড়ে ফেলতে লাগল বইখাতা। বাবা-মা পড়ে গেলেন ধন্দে। তা হলে কি আজ টিউশন না পড়িয়ে বেড়াতে নিয়ে যাবেন মেয়েকে? নাকি জোর করে পড়তে বসাবেন?
শিশু মনোবিদ তাপসী মিত্র বলছেন, অনেক সময়ে রাগটা বাচ্চাদের অস্ত্র হিসেবে কাজ করে। তারা জানে, রাগ করলে তার ইচ্ছেমতো কাজ করবে বাবা-মা। তাই রাগকে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়। আবার শিশুর রাগ বেশি বাড়তেও দেওয়া যাবে না। কী করে সামলানো যায় শিশুকে, এখানে রইল তার কিছু টিপস।
চ্যালেঞ্জ করবেন না
শিশু যখন রেগে রয়েছে, তখন তার রাগ উস্কে দেবেন না। ‘দেখি তুই কী করিস’ কিংবা ‘তোরই তো দোষ’, ধরনের কথা এড়িয়ে যান। কঠোর শাস্তির ভয় দেখাবেন না।
তখনই বোঝানো নয়
বড়দের মতো যুক্তি দিয়ে বোঝার ক্ষমতা শিশুর নেই। বড়রা রেগে গেলে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে শান্ত করা যায়, ছোটদের যায় না। রাগ না কমলে বোঝানোর চেষ্টা করবেন না।
হাত তুলবেন না
শিশুকে মারধর করলে, তার সঙ্গে গলা চড়ানোর প্রতিযোগিতা করলে টেনশন বাড়বে। শান্ত থাকুন। ওকে বলুন, ‘‘শান্ত হও, তার পর আলোচনা করব।’’
সরি বলা ভাল
মনে রাখবেন, সব অবস্থাতেই আপনাকে দেখে শিশু শিখছে। রাগ হলে কী করতে হয়, তা-ও শেখে। যদি মারধর করে ফেলেন, পরে স্বচ্ছন্দে বলতে পারেন, ‘‘সরি, আমি তখন রেগে গিয়ে তোমাকে মেরেছি।’ আপনার প্রতি শিশুর শ্রদ্ধা কমবে না।
শান্ত হতে সাহায্য করুন
যা নিয়ে রাগারাগি তা নিয়ে তখনই কোনও কথায় না যাওয়া। একটা ‘ব্রেক’ নিন। শান্ত হওয়ার সময় দিন। প্রয়োজনে অন্য ঘরে কিছুক্ষণ থাকুন। খুব ছোট শিশুদের চোখের বাইরে বেশিক্ষণ রাখবেন না। মনে রাখবেন, শিশু আপনার থেকেই রাগ নিয়ন্ত্রণ শিখবে। তাই শিশুর রাগে আপনি রেগে যাবেন না, কান্নাকাটি করবেন না। শান্ত থাকুন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy