আগুন আয়ত্তে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।
পাঁচ ঘণ্টা পর আগুন আয়ত্তে এলেও ভস্মীভূত হাওড়ার সাঁকরাইলের চিপস তৈরির কারখানা। বুধবার বেলা বারোটা নাগাদ ওড়ার সাঁকরাইলে একটি চিপস তৈরির কারখানায় আগুন লাগে। আশপাশে অন্যান্য কারখানা থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক দেখা দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রাথমিক ভাবে পৌঁছয় দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। পরে আরও ১৩টি ইঞ্জিন যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুন লাগার সময় কারখানাটি খোলা ছিল। কারখানা সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার সময় সেখানে ২৫০ জন কর্মী ছিলেন। তবে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা বার হয়ে যান বলেও কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে।
বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ ওই কারখানাটিতে আগুন দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা খবর দেন দমকলে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় আকাশ। এর পর একে একে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের মোট ২০টি ইঞ্জিন। কিন্তু কারখানার দেওয়ালের কারণে আগুন আয়ত্তে আনতে প্রাথমিক ভাবে বাধা পান দমকলকর্মীরা। এর পর জেসিবি-র মাধ্যমে ওই দেওয়াল ভেঙে ফেলা হয়। সেই পথে কারখানা চত্বরে ঢুকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন দমকলকর্মীরা। জলের সমস্যা দেখা দেওয়ায় নয়নজুলি থেকে জল সংগ্রহ করেন দমককর্মীরা।
কারখানার ভিতরে প্রচুর চিপস প্যাকেট বন্দি অবস্থায় ছিল। তা পুড়ে গিয়েছে। উত্তাপের জেরে কারখানার ছাদের একাংশ ভেঙে পড়েছে। কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ড তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা উপযুক্ত ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত আগুন আয়ত্তে আনাই প্রাথমিক লক্ষ্য দমকলকর্মীদের। হাওড়ার ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার তপনকুমার বসু বলেন, ‘‘দেখে মনে হচ্ছে কারখানায় অগ্নিনির্বাপণের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’
আগুন আয়ত্তে আসার পর, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান দমকল অধিকর্তা অভিজিৎ পাণ্ডে। ওই কারখানার দমকলের ছাড়পত্র এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা উপযুক্ত ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy