মিড-ডে মিলে অন্য ভাত, ডাল, ডিমের ঝোলের পাশাপাশি ছিল পায়েসও। ফাইল ছবি।
মিড-ডে মিলের গরম ভাতের গন্ধের সঙ্গে অন্য একটা অচেনা গন্ধও ভেসে আসছিল হাওড়ার ডোমজুড়ের কেশবপুর হাইস্কুলের রান্নাঘর থেকে। কয়েক জন পড়ুয়া সেখানে উঁকি মেরে দেখে, ভাত, ডাল, ডিমের ঝোলের পাশাপাশি রান্না হচ্ছে পায়েসও। খানিক পরেই শিক্ষকেরা ঘোষণা করলেন, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ৩৬ জন পড়ুয়ার জন্মদিন ফেব্রুয়ারি মাসে। সেই উপলক্ষেই এ দিন সকলকে পায়েস খাওয়ানো হবে। এর পরে খাওয়ার সময়ে ছোট ছোট আলাদা প্লেটে পড়ুয়াদের দেওয়া হল গরম পায়েস। যাঁরা রান্না করেন, তাঁরা জানালেন, ১৫ কেজি চাল ও আট কেজি দুধের ওই পায়েস ৪১৫ জন পড়ুয়াকে খাওয়ানো গিয়েছে। অনেকেই দু’বার নিয়েছে।
সরকার-পোষিত ওই স্কুলে এ দিন যে ৩৬ জন পড়ুয়ার জন্মদিন পালন করা হল, তাদের অনেকেরই জন্মদিন বাড়িতে পালিত হয় না আর্থিক কারণে। প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর দাস বললেন, ‘‘পড়ুয়াদের অনেকের পরিবারেরই জন্মদিন পালনের আর্থিক সংস্থান নেই। ওদের মুখেই সে কথা শুনেছি। ঠিক করি, স্কুলে প্রতি মাসে পড়ুয়াদের জন্মদিন পালন করব।’’
এ মাসেই জন্মদিন অনুশ্রী সাঁতরা, লিজ়া শেখ, তুষার হালদারের মতো পড়ুয়াদের। তাদের কারও বাড়িতেই জন্মদিন সে ভাবে পালিত হয় না। তাই স্কুলে সকলের সঙ্গে জন্মদিন পালন করে, পায়েস খেয়ে খুব খুশি অনুশ্রী, লিজ়া, তুষারেরা। তারা বলল, ‘‘স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে বসে পায়েস খাওয়ার মজাই আলাদা। জন্মদিনের রংবেরঙের টুপি আর লজেন্সও পেয়েছি আমরা। স্কুলের ওয়েবসাইটে জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তাও দেওয়া হয়েছে।’’
স্কুলের শিক্ষকেরা জানালেন, এ মাসের শেষে জন্মদিন পালন করার উপায় নেই। কারণ, ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। এই স্কুলও পরীক্ষার একটি কেন্দ্র। ওই ৩৬ জনের মধ্যে শুক্রবার, অর্থাৎ ১৭ তারিখ ছিল তিন জনের জন্মদিন। এ দিনই জন্মদিন পালিত হওয়ায় তারা খুবই খুশি। দীপঙ্কর বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে পায়েসের সঙ্গে কেক কেটে পড়ুয়াদের জন্মদিন পালনের ইচ্ছে রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy