অবস্থানে শুভম মুখোপাধ্য়ায়। নিজস্ব চিত্র।
বিনা নোটিসে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ায় বাবার ছবি নিয়ে পোস্টার লিখে ব্যাঙ্কের সামনে ধর্নায় বসলেন এক যুবক। কোন্নগর নবগ্রাম পিপলস কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ব্যাঙ্ক লিমিটেডের সামনে এই ঘটনায় বুধবার বিকেলে ভিড় জমে যায়।
অভিযোগ, বাবা সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরে ২০২০ সালে চাকরি পেয়েছিলেন শুভম। দিন চারেক আগে হঠাৎ করেই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান মানস রায় তাকে ডেকে বলেন, ‘তাকে আর কাজ করতে হবে না।’ শুভম তাঁর মাকে নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে অনেক অনুনয়-বিনয় করলেও তাকে আর কাজে বহাল করা হয়নি। এর পর কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে বুধবার ব্যাঙ্কের সামনে ধর্নায় বসে পড়েন ওই যুবক। তাঁকে সঙ্গ দিতে এগিয়ে আসে এলাকারই আরও কিছু লোকজন।
শুভমের দাবি খুব অল্প বেতনে তিনি কাজ করেন। তাঁর মায়ের চিকিৎসা থেকে সংসার চালানো সবই সেই বেতনের টাকাতেই চলে। এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে সমর্থন করে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ঘটনা প্রসঙ্গে নবগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব মজুমদার বলেন, ‘‘ওই যুবকের বাবা ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন। তিনি মারা যাওয়ার পরে ছেলে চাকরি পান। কোনও কারণ ছাড়াই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’’
অপূর্বের অভিযোগ, ‘‘এই ব্যাঙ্কে যে সব কর্মচারী আছেন, তাঁদের মধ্যে যারা তৃণমূল করেন বা সমর্থক তাঁদের বিনা কারণে শোকজ করা হচ্ছে, নয়তো বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা চলতে পারে না। ব্যাঙ্কে আমরা কোনও অন্যায় হতে দেব না। যাংকে বসিয়েছে, তাঁকে কাজে বহাল করতে হবে।’’
ব্যাঙ্কের সামনে ধর্না চলছে খবর পেয়ে চলে আসেন কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ। ধর্না তুলে নিতে বলেন। কিন্তু পুলিশের কথায় কান না দিয়ে চলতে থাকে ধর্না। এর পর উত্তরপাড়া থানার আইসি গিয়ে বোঝান আলোচনা করে সমস্যা মেটাতে। দু’দিন সময় দেন শুভম ও তার সঙ্গীরা। চাকরিতে পুনর্বহাল না করলে আবার আন্দোলন হবে বলে জানিয়ে দেন তাঁরা।’’ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান মানস রায়কে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি কলকাতায় ছিলাম। আমি শুনেছি এ রকম কিছু হয়েছে।তবে কাল ব্যাঙ্কে গিয়ে বলতে পারব কী হয়েছে।’’ শুভমকে বসিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে মানস বলেন, ‘‘এ রকম কিছু হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy