—প্রতীকী চিত্র।
পকসো মামলায় মিথ্যা স্বাক্ষী দিয়েছেন নিপীড়িত শিশুর বাবা। বৃহস্পতিবার তাঁকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল চন্দননগর আদালত।
পুলিশি তদন্তে এবং বিচারকের সামনে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার সময় শিশুর উপর যৌন নিপীড়ন চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বাবা, মা। আদালত সূত্রে খবর, পরে সেই মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণের সময় তাঁদের অবস্থান বদলে যায়। আদালতে শপথ নিয়ে তাঁরা বলেছেন, অভিযুক্ত কোনও অপরাধ করেননি। অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। যদিও পুলিশি তদন্ত এবং অন্যান্য স্বাক্ষ্য প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হন অভিযুক্ত প্রৌঢ়। আদালত অভিযুক্তকে দু’টি পৃথক ধারায় যাবজীবন ও দশ বছরের জেলের সাজা দেয়। পকসো মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করে। এ ছাড়াও ৩৭৬/এ, বি ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা শিশুকে দিতে হবে বলে জানান চন্দননগরের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক কাজি আবুল হাসেম।
২০১৯ সালে ২১ নভেম্বর চন্দননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বছর চারেকের ওই শিশুর বাবা। পুলিশের কাছে অভিযোগে তিনি জানান, ওই দিন বিকেলে কলুপুকুর এলাকায় তাঁর মেয়ে খেলতে গিয়েছিল। সেই সময় প্রতিবেশি প্রৌঢ় অমৃত সাউ তাঁর মেয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পকসো ও ৩৭৬/এ, বি ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। গ্রেফতার হন অভিযুক্ত। ১৮ অগস্ট ২০২৩ এই মামলায় প্রৌঢ়কে দোষী সাব্যস্ত করে চন্দননগর আদালত। পর দিন সাজা ঘোষণা হয়। এই মামলায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন শিশুর বাবা। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা স্বাক্ষ্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আদালত শিশুর বাবাকে বুধবার পাঁচ দিনের জেলের সাজা শোনায়।
চন্দননগর পুলিশের ডিসিপি বিদিত রাজ বুন্দেশ বলেন, ‘‘এই রায় একটা দৃষ্টান্ত। এর ফলে আদালতে মিথ্যা স্বাক্ষ্য দিয়ে মামলাকে প্রভাবিত করা এবং আদালতকে ভুল পথে চালিত করা থেকে বিরত থাকবেন স্বাক্ষীরা। শিশুর উপর নিপীড়ন হয়েছিল, এটা তদন্তেই বেরিয়ে আসে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy