Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Jagatdhatri Puja 2023

জগদ্ধাত্রীর মণ্ডপে প্লাস্টিক, থার্মোকলে নিষেধাজ্ঞা জারি

পুজোর দিনগুলিতে পরিবেশ রক্ষায় এ বার বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুরসভার মেয়র রাম চক্রবর্তী।

চন্দননগর পৌর নিগম।

চন্দননগর পৌর নিগম। —ফাইল চিত্র।

সুদীপ দাস
চন্দননগর শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:১৫
Share: Save:

কালীপুজোতেই কার্যত ঢাকে কাঠি পড়ে গেল চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর।

ক’দিন ধরেই শহরের রাস্তার গর্ত বোজানোর কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরির কাজেও জোর বেড়েছে। এর মধ্যেই রবিবার, কালীপুজোর দিন শহরের দু’টি জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি আলপনা প্রতিযোগিতা করল। তা দেখতে ভিড়ও জমল।

পুজোর দিনগুলিতে পরিবেশ রক্ষায় এ বার বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুরসভার মেয়র রাম চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘মণ্ডপে থার্মোকল, প্লাস্টিকের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুজোর সময় প্লাস্টিকের পাতলা ক্যারিব্যাগ ব্যবহার বন্ধেও প্রচার চালানো হবে। বিসর্জনে গঙ্গাদূষণ রোধে কোনও রকম আপস করা হবে না। একটি ফুল-বেলপাতাকেও নদীতে মিশতে দেওয়া হবে না।’’

পুরসভার এই নিষেধাজ্ঞা মেনেই তাঁরা প্রস্তুতি চালাচ্ছেন বলে বহু পুজো কমিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। খলিসানি সর্বজনীনের সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির চেয়ারম্যান নিমাইচন্দ্র দাস বলেন, "থিমে খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে থার্মোকলের বিকল্প এখনও হয়নি। তবুও সকলেই প্রায় পুরসভার নির্দেশ মেনে চলছেন। এতে আখেরে মানুষেরই ভাল হবে।’’ কানাইলাল পল্লি সর্বজনীনের কোষাধ্যক্ষ সত্যজিৎ দেবনাথ জানান, এ বার ৫০তম বর্ষে তাঁদের থিম পরিবেশকেন্দ্রিক। তিনি বলেন, পুরসভার নির্দেশ মেনে আমরা প্লাস্টিক, থার্মোকলের মতো কোনও উপকরণই ব্যবহার করিনি। পরিবেশকে বাঁচাতে সকলের এটা করা উচিত।’’

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তমী থেকে নবমী— ভোর ৫টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। মাঝে অবশ্য এক ঘণ্টা করে দু’বার পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। বিসর্জনের দিন সকাল থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। রবীন্দ্রভবনে জরুরি ভিত্তিতে পরিষেবা দেওয়ার জন্য পুরকর্মী থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ দফতর, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা থাকবেন।

চন্দননগর কমিশনারেট জানিয়েছে, এ বারেও ষষ্ঠীর দিন থেকে সাধারণ যান চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। শহরে ঢোকার সব ক’টি জায়গাতেই থাকবে ‘নো-এন্ট্রি’। কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, পুজোর ক’দিন শহরে এক হাজারের উপর অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবে। মহিলাদের সুরক্ষার্থে থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ। ড্রোনের সাহায্যে শহরে নজরদারি চলবে।

তবে, এর মধ্যেই শহরের বেশ কিছু জায়গায় রাস্তায় যে ভাবে আলো বা বিজ্ঞাপনের জন্য তোরণ বানানো হয়েছে, তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাসিন্দাদের একাশ। তাঁদের অভিযোগ, এর ফলে, রাস্তার একাংশ দখল হয়ে যাচ্ছে। যানজট বাড়ছে। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, সব বারোয়ারিকেই বিষয়টিকে মাথায় রাখার কথা বলা হয়েছিল। সমস্যা বড় হলে পদক্ষেপ করা হবে। এক পুলিশকর্তা জানান, মণ্ডপ-সহ আশপাশ এলাকা ঘুরে দেখা শুরু হয়েছে। তোরণ রাস্তা দখল করলে তা সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটিকে খুলে ফেলতে বলা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chandannagar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE