বানভাসি খানাকুল। ছবি—পিটিআই।
হুগলি এবং হাওড়া জেলার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার হেলিকপ্টারে করে প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখার কথা তাঁর। মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টারের জন্য অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে হুগলির খানাকুলের ঘোষপাড়ায়। মঙ্গলবার হেলিপ্যাড তৈরির কাজ দেখতে খানাকুলে এসেছিলেন তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। মুখ্যমন্ত্রী যে বুধবার আসবেন সে কথা দিলীপই জানিয়েছেন।
এক দিকে, প্রবল বৃষ্টি। অন্য দিকে, মাইথন, পাঞ্চেত এবং দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে নিয়মিত জলছা়ড়া। সব মিলিয়ে খানাকুল এবং জাঙ্গিপাড়া, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, আমতার বিভিন্ন গ্রামে দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। খানাকুল-২ নম্বর ব্লকের রাজহাটী, রামচন্দ্রপুর, জগৎপুর, মারোখানা, বাসাবাটি এলাকা এখনও জলের তলায়। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর কপ্টার এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা বন্যায় আটকে পড়া গ্রামবাসীদের উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন ত্রাণশিবিরের নিরাপদ আশ্রয়ে। তবে খানাকুলের কিছু এলাকায় জলস্তর মঙ্গলবার কিছুটা হলেও কমেছে। এ রকম সময়েই বন্যা পরিস্থিতি দেখতে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ঘোষপুর মান্নারডাঙার মাঠে যে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। সেখানে এসে দিলীপ বলেছেন, ‘‘বন্যার জেরে বহু মানুষ জলবন্দি হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে খানাকুল থেকে কপ্টারে করে বানভাসিদের উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আসবেন। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন।’’ ত্রাণশিবিরে মানুষের প্রয়োজনীয় সব জিনিসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে খানাকুল ব্লকের রাজহাটীর ভীমতলা অঞ্চলে মঙ্গলবার বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহরায়, খানাকুলের মুন্সি নজিবুর করিম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy