Advertisement
২১ মে ২০২৪
Paddy

Paddy: নিয়মের গেরোয় চিন্তা

‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে তাঁরাই নাম তুলতে পারেন, যাঁদের নিজস্ব জমি আছে। অন্যের জমি মৌখিক চুক্তির ভিত্তিতে চাষ করলে এই সুবিধা মেলে না।

আমতায় পাক ধরেছে ধানে। ছবি: সুব্রত জানা। সিঙ্গুরে কিছু জমিতে ধান কাটা শুরু হয়েছে (নীচে)।

আমতায় পাক ধরেছে ধানে। ছবি: সুব্রত জানা। সিঙ্গুরে কিছু জমিতে ধান কাটা শুরু হয়েছে (নীচে)। ছবি: দীপঙ্কর দে।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২১ ০৭:৫৭
Share: Save:

১ নভেম্বর থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূ‌ল্যে (কুইন্টালপ্রতি ১৯৪০ টাকা) চাষিদের থেকে ধান কেনার কথা ঘোষণা করেছে খাদ্য দফতর। কিন্তু জেলায় এখনও সে ভাবে ধান কেনা শুরু হয়নি। কেন? খোঁজ নিল আনন্দবাজার।

নাম থাকতে হবে ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে। তবেই এ বার চাষিরা খাদ্য দফতরের নির্দিষ্ট পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করে ধান বেচতে পারবেন। কিন্তু এই নিয়মের গেরোয় ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা (১৮ লক্ষ কুইন্টাল) ছোঁয়া যাবে কি না, তা নিয়ে হাওড়া জেলা প্রশাসন এবং খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা সংশয়ে।

কেন?

‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে তাঁরাই নাম তুলতে পারেন, যাঁদের নিজস্ব জমি আছে। অন্যের জমি মৌখিক চুক্তির ভিত্তিতে চাষ করলে এই সুবিধা মেলে না। অথচ, হাওড়ায় এই ধরনের চাষির সংখ্যাই বেশি।

জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘যাঁদের নিজস্ব জমি আছে, তাঁরা অধিকাংশই চাষ করেন না। অথচ, জমির মালিক হওয়ার সুবাদে তাঁরা ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের সুবিধা পান। কিন্তু তাঁদের সংখ্যা খুব কম থাকায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছিও পৌঁছনো যাবে না।’’

সমস্যার কথা মানছেন জেলা খাদ্য দফতরের কর্তাদের একাংশও। তাঁদের বক্তব্য, ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে নাম না থাকায় বহু ভাগচাষি পোর্টালে নাম তুলতে পারছেন না। ফলে, তাঁরা সরকারকে ধান বেচতে পারবেন না। খাদ্য দফতরের ওই আধিকারিকদের বক্তব্য, পোর্টালে নাম তোলার এই নিয়ম চালু করেছে রাজ্য খাদ্য দফতর। জেলা পর্যায়ে তাঁদের কিছু করার নেই।

এই জটিলতা নিয়ে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন চালকল-মালিকদের একটি বড় অংশ। কারণ, চাষিদের বিক্রি করা ধান যায় চালকলে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই ধান ভাঙিয়ে খাদ্য দফতরের গুদামে চাল পৌঁছে দিতে হয়। চালকল-মালিকদের বক্তব্য, ধান সংগ্রহে দেরি হলে ভাঙাতেও দেরি হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, কাল, মঙ্গলবার রাজ্য খাদ্য দফতরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক রয়েছে। সেখানেই পোর্টালে চাষিদের নাম নথিভুক্তির সমস্যা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। পোর্টালে নাম তোলার সমস্যা মিটলে হাওড়ায় সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা পুরোদমে চালু হয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই মনে করছে।

জেলায় দু’ভাবে ধান কেনে খাদ্য দফতর। প্রথমত, সরাসরি কিসান মান্ডি থেকে। দ্বিতীয়ত, প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতির মাধ্যমে। ৪৪টি সমিতি ধান সংগ্রহের ছাড়পত্র পেয়েছে। মান্ডিতে অল্পস্বল্প ধান কেনা হলেও সমিতিগুলি এখনও তা শুরু করেনি বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Paddy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE