ছবি: এএফপি।
মশা মারতে কামান দাগার কথা শোনা গিয়েছে বটে। তবে এ বার কি মশা মারতে ড্রোনও ব্যবহার করা হবে? করোনাকালে হুগলি জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ রুখতে ড্রোন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার পরই এ প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়দের অনেকে। যদিও জেলা প্রশাসনের দাবি, জমা জলই ডেঙ্গি ছড়ানোর জন্য দায়ী। সে জন্য নিকাশি খাল সংস্কারের প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। মশা মারতে নয়, নিকাশি ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতেই সমীক্ষার কাজে লাগানো হবে ড্রোন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০২০-’২১ সালে হুগলি জেলায় এখনও পর্যন্ত ১৪২ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাতে কার মৃত্যু হয়নি বলে দাবি জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়ার। যদিও ফি বছরই বর্ষার সময় জমা জলে মশার লার্ভা জন্মানোর ফলে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব বাড়ে। শ্রীরামপুর, রিষড়া, কোন্নগর, উত্তরপাড়া, ডানকুনি পুরসভা এলাকা এবং শ্রীরামপুর উত্তরপাড়া ব্লকে প্রতি বছরই ডেঙ্গির আতঙ্ক ছড়ায়।
বেহাল নিকাশিই দায়ী বলে কার্যত মেনে নিয়েছে প্রশাসন। হুগলি জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া বলেন, ‘‘ডেঙ্গি প্রতিরোধে চলতি বছরের জুনে প্রত্যেক পুরসভার জন্য এক জন করে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদপর্যাদার অফিসারকে স্পেশাল অফিসারকে হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গি নিয়ে তাঁরা কাজ শুরু করেছেন। তথ্য সংগ্রহ করে রিপোর্টও দিচ্ছেন। মূলত জমা জলই যে সমস্যা। এই সমস্যা মেটাতে নিকাশি ব্যবস্থাকে উন্নত করার চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়। ডানকুনি, বৈদ্যবাটি খাল এবং সরস্বতী নদীর নিকাশি খতিয়ে দেখতে ড্রোন দিয়ে সার্ভে করা হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সার্ভে শেষ হবে। তার পর নিকাশি খাল সংস্কার হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy