প্রয়াত জটু লাহিড়ি। — নিজস্ব চিত্র।
প্রয়াত হলেন হাওড়ার শিবপুরের প্রাক্তন বিধায়ক জটু লাহিড়ি। বৃহস্পতিবার সকালে শিবপুরের অম্বিকা কুণ্ডু বাই লেনে নিজের বাড়িতে মৃত্যু হয় তাঁর। তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭।
১৯৩৬ সালের ২৮ এপ্রিল জন্ম হয়েছিল জটুর। কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় তাঁর। শিবপুর কেন্দ্রে প্রথম বার তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন ১৯৯১ সালে। ওই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন তিনি। ১৯৯৬ সালেও ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তিনি। এর মাঝে তৃণমূল তৈরি হওয়ার পর কংগ্রেস থেকে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দেন জটু। ২০০১ সালেও বিধানসভা ভোটে জিতেছিলেন জটু। তবে ২০০৬ সালে হেরে যান তিনি। কিন্তু ২০১১ এবং ২০১৬ সালে আবার বিধায়ক হন জটু। পাঁচ বার শিবপুর কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তিনি। হাওড়া পুরসভার কাউন্সিলরও ছিলেন তিনি। ২০২১ সালে তৃণমূল ছেড়ে জটু যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। এর পর অবশ্য রাজনীতি থেকে কিছুটা দূরেই চলে যান ওই বর্ষীয়ান নেতা। সম্প্রতি ভুগছিলেনও।
জটুর মৃত্যুতে শোকগ্রস্ত রাজনৈতিক মহল। প্রাক্তন সহকর্মীর মৃত্যু নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘‘তিনি দীর্ঘ দিন আমাদের কর্মী ছিলেন। একসঙ্গে আমরা বহু লড়াই করেছি। ওঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল। ওঁকে আমি শ্রদ্ধা করি।’’
জটু লাহিড়ির প্রয়াণে শোক জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর শোকবার্তায় লেখা হয়েছে, ‘‘বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জটু লাহিড়ির প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ সকালে হাওড়ার শিবপুরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি হাওড়ার শিবপুর কেন্দ্র থেকে পাঁচ বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজকর্মের সঙ্গে জটু লাহিড়ি যুক্ত ছিলেন। বর্ষীয়ান রাজনীতিক জটু’দার সঙ্গে আমার দীর্ঘ দিনের হৃদ্যতা ছিল। তাঁর স্মৃতি চির অমলিন থাকবে। তাঁর প্রয়াণে রাজনৈতিক জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি জটু লাহিড়ির পরিবার, পরিজন এবং অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy