দু’বছর কেটে গেল, তবু রাস্তা হল না! নিজস্ব চিত্র।
বাংলা গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা তৈরির ফলক লাগানো হয়েছে তিন বছর আগে। রাস্তা তৈরিতে বরাদ্দ হয়েছে প্রায় দু’কোটি টাকা। কিন্তু রাস্তা আর হয়নি। হুগলির সিঙ্গুরের নান্দা থেকে পালাড়া পর্যন্ত সেই রাস্তা এখনও কাঁচা অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। সিঙ্গুর ব্লকের বিঘাটি ও বাগডাঙা-ছিনামোড় পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে পড়ে এই রাস্তা। এ ছাড়াও আশপাশের দুই-তিনটি পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এই রাস্তা ব্যবহার করেন। ভদ্রেশ্বর থেকে সিঙ্গুরের সংযোগকারী ওই রাস্তার কাজ শেষ না হওয়ার ফলে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই কাঁচা রাস্তায় পিচ পড়ার কথা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু সেই কাজ শুরুই হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তার ধারে কাজের আগে ফলক লাগানো হলেও রাস্তার কাজ শুরু করতে পারেনি জেলা পরিষদ। অথচ, সেই জায়গায় ফলক লাগানো হয়েছে খুব সুন্দর ভাবে। রাস্তা নির্মাণ নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভ এখন চূড়ান্ত।
সূত্রের খবর, গ্রামোন্নয়ন দফতর রাস্তাটি করতে এক কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা ধার্য করেছিল। তার পর ২০২০ সালের মার্চ মাসে রাস্তা তৈরির ফলকও লাগানো হয়। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের আর্থিক সহযোগিতায় এই কাজ হওয়ার কথা ছিল। ঠিকাদার সংস্থাও কাজ শুরুর প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু তার পর কোনও অজানা কারণে কাজ শুরু না করেই তারা চলে যায়।
এ নিয়ে বাগডাঙ্গা-ছিনামোড় পঞ্চায়েতের প্রধান চন্দ্রনাথ দাস বলেন, ‘‘ঠিকাদার সংস্থা কাজ করেনি। স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে জানানো হয়েছে। তিনি উদ্যোগী হয়েছেন। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই রাস্তা তৈরি হবে।’’ হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়ের দাবি, যে ঠিকাদার সংস্থা কাজ করছিল তারা ২০১৮ সালে দায়িত্ব নিয়েছিল। কিন্তু এ রকম বেশ কয়েকটি রাস্তার কাজ শেষ করেনি তারা। কোনওটা অর্ধসমাপ্ত, কোনওটা অসমাপ্ত রেখেই চলে গিয়েছে। গ্রামোন্নয়ন দফতরকে জানিয়েছি। সেই সংস্থাকে বরখাস্ত করে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। পরে তিনি যোগ করেন, ‘‘এ বার প্রথম যে পাঁচটি রাস্তা হবে তার মধ্যে প্রথম এই রাস্তা হবে। নতুন করে ই-টেন্ডার হবে। প্রক্রিয়াগত কারণে দেরি হয়েছে রাস্তা তৈরিতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy