হুগলি জেলার দু'দিনের বর্ধিত অধিবেশনের শেষে হরিপাল হড়া ফুটবল মাঠে রবিবার প্রকাশ্য সমাবেশে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
লোকসভা নির্বাচনের আগে লড়াই-আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করার পাশাপাশি নিজেদের খামতি শুধরে নেওয়া নিয়ে আলোচনা হল সিপিএমের হুগলি জেলা কমিটির দু’দিনের বর্ধিত অধিবেশনে। হরিপালে গোপীনগরে অধিবেশন শুরু হয়েছিল শনিবার। রবিবার, শেষ দিনে হড়া ফুটবল মাঠে প্রকাশ্য সমাবেশে দুর্নীতি প্রসঙ্গে তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সেলিম বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের একটা বাড়ি করতে গিয়ে জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর শাসকদলের নেতারা টাকা কোথায় রাখবেন, তার জন্য বাড়ি খুঁজে বেড়াচ্ছেন। লোক দেখাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০ দিনের কাজের টাকা আনতে দিল্লি যাচ্ছেন বলছেন। আসলে মোদীর কাছে গিয়েছেন, যাতে ভাইপো ধরা না পড়ে।’’ সেলিম ছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য পেশ করেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মিন্টু বেরা ও জেলা কমিটির সদস্য বন্যা টুডু।
ব্রিগেডে ডিওয়াইএফআইয়ের সভার অনুমতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের মন্তব্য, ‘‘যুবরা তাঁদের কাজের, শিক্ষার ও ন্যায়ের দাবিতে এবং খুনের প্রতিকারের জন্য লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছেন। লড়াই করার জন্য যখন নেমেছি, অনুমতির তোয়াক্কা করি না। সমাবেশ হবে ৭ তারিখে। মানুষের ঢল নামবে। দেখব, কে রুখবে!’’
সেলিমের বক্তব্য নিয়ে তৃণমূলের হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন বলেন, ‘‘৩৪ বছরে বাংলাটাকে শেষ করে দিয়ে গিয়েছেন ওঁরা। যাঁরা আজ শিক্ষা, যৌবনের কথা বলছেন, তাঁরা একটা প্রজন্মের যৌবন শেষ করে বার্ধক্যে পরিণত করে দিয়েছেন। বাংলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাঁদের মুখে এ সব কথা শোভা পায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy