—নিজস্ব চিত্র।
জুলাইয়ে আর্শীবাদ। নভেম্বরে বিয়ে। শুরু হয়ে গিয়েছিল তাঁর বিয়ের কেনাকাটা। তবে নতুন জীবন শুরুর আগেই চলে গেলেন হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীটি। বৃহস্পতিবার সুলতানপুর গ্রামে রিমার দেহ আনা হয়। নিজেদের মেয়ের এই অকালমৃত্যু শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম।
মঙ্গলবার বিশাখাপত্তণম বেড়াতে যাওয়ার পথে ওড়িশার গঞ্জামে বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল রিমা দেঁড়ে-র। ওই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন রিমার মা মৌসুমী দেঁড়ে-সহ রাজ্যের ছয় বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে রয়েছেন রিমার বাবা হারাধন দেঁড়ে এবং বোন মেঘনা দেঁড়ে। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেঘনা। তাঁর পায়ে গুরুতর চোট লেগেছে। শুক্রবারের এই ঘটনায় উদয়নারায়ণপুরের সুলতানপুরের আরও তিন জন এবং হুগলির জাঙ্গিপাড়ার এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার ৭০ জনের একটি দল বিশাখাপত্তনমের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। তাঁদের বেশির ভাগই উদনারায়ণপুরের সুলতানপুরের বাসিন্দা। মঙ্গলবার ওড়িশার দারিংবাড়ি থেকে পাহাড়ি রাস্তায় নামার সময় মৃত্যু হয় রিমার। বিয়ের মাস ছয়েক আগেই তাঁর অকালমৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবে শোকাহত পরিজনেরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, উদয়নারায়ণপুর মাধবীলতা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন রিমা। নভেম্বরে বিয়ের কথা পাকা হয়ে গিয়েছিল। পাত্র আমতা ২ নম্বর ব্লকের জয়পুর এলাকার বাসিন্দা। রিমার বৌদি রাণু দেঁড়ে বলেন, ‘‘গত বছরের নভেম্বরে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল রিমার। কিন্তু, পাত্রপক্ষ এক বছর সময় চেয়েছিল। তাই অপেক্ষা করতে হল। বেড়াতে যাওয়ার আগে ২২ তারিখ বিকেলে রিমার সঙ্গে দেখা করতে এখানে এসেছিল হবু জামাই... ” শোকে গলা বুজে এল রাণুর। সে অবস্থাতেই তিনি বলে চলেন, ‘‘এক বছর আগে আমার বিয়ে হয়েছিল। এত দিন ধরে তো রিমাকে দেখছি, খুব মিষ্টি মেয়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy