—নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তড়িঘড়ি পুকুর পাড় বাঁধানো হয়েছিল। তবে মাস তিনেক পরেই ওই পুকুর পাড়ে ধস নেমে জলে ডুবল ওই বিপুল অর্থ। শুক্রবার হুগলির চণ্ডীতলায় জনাই গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই)-এ অর্থ খরচের খতিয়ান চেয়েছেন বিরোধী সিপিএম নেতৃত্ব। বিরোধী পক্ষ সরব হওয়ার পর এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, চণ্ডীতলার জনাইয়ে ভগবান দেবী গোয়েঙ্কা গার্লস হাই স্কুলের পাশে একটি পুকুর সংস্কার শুরু করেছিল জনাই পঞ্চায়েত। ওই পুকুরের তিন দিকে ঘরবাড়ি রয়েছে। পশ্চিম দিকে রয়েছে ওই স্কুলটি। তিনতলা স্কুল ভবনের গায়ে ঢালাই রাস্তার পাশে সিমেন্টের দেওয়াল তুলে পুকুর পাড় বাঁধানো হয়েছিল। সম্প্রতি পুকুরের জল শুকিয়ে পাঁক তোলার কাজ শুরু করতেই বিপত্তি ঘটে। পুকুরের চারদিকে ধস নামতে শুরু করে। বিপুল অর্থব্যয়ে নির্মিত দেওয়াল ভেঙে পুকুরে পড়ে যায়। তড়িঘড়ি শাল-বল্লা দিয়ে ধস আটকানোর চেষ্টা করা হয়। এতে স্কুলের পাশের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি স্কুল ভবনও যে কোনও সময় হেলে প়ড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা সিপিএমের অপূর্ব পাল। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমাদের অন্ধকারে রেখে পুকুর পা়ড় বাঁধানোর কাজ করা হয়েছিল। সে কাজের কোনও নকশা দেখাননি ইঞ্জিনিয়ার। কোন তহবিলের কত টাকা খরচ হয়েছে, তা-ও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। মাটির গভীরে ভিত করা দূরে থাক, বালি-সিমেন্টের পাঁচিলে লোহার রড পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়নি। নিম্নমানের কাজের জন্যই গার্ড ওয়াল ভেঙে পড়েছে। এই ঘটনার তদন্তের দাবি করছি। এখনই কোনও ব্যবস্থা না নিলে স্কুল ভবনের ক্ষতি হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।’’ এ নিয়ে আরটিআই করা ছাড়াও বিডিও শুভব্রত ভট্টাচার্যকে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy