Advertisement
২৭ মে ২০২৪
Abduction

Abduction: রাতে বন্দুক ঠেকিয়ে অপহরণ, পর দিনই চিকিৎসককে উদ্ধার করল পুলিশ

দুই অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন তদন্তকারীরা। বাকিদের খোঁজ চলছে।

অপহরণকারীদের কবল থেকে মুক্ত চিকিৎসক গৌতম দাস।

অপহরণকারীদের কবল থেকে মুক্ত চিকিৎসক গৌতম দাস। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২১ ১৮:৩৪
Share: Save:

রাতে বাড়ি ফেরার সময় হাওড়ার এক চিকিৎসককে অপহরণ করেছিল দুষ্কৃতীরা। ফোন করে বিপুল অঙ্কের টাকা মুক্তিপণ হিসাবেও দাবি করা হয়। কিন্তু দুষ্কৃতীদের সব কীর্তি ফাঁস হয়ে গেল। রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই চিকিৎসককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি অপহরণ-কাণ্ডের দুই পাণ্ডাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।
বুধবার রাত ১১টা নাগাদ আন্দুল রোডের একটি নার্সিংহোম থেকে নিজের গাড়িতে বাড়ি ফিরছিলেন হাওড়ার এক চিকিৎসক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁকরাইল স্টেশনের লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার পর মোটর বাইকে চড়ে কয়েক জন দুষ্কৃতী তাঁর গাড়ি আটকায়। চালকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে তিন জন। এক জন দুষ্কৃতী গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যায় অন্যত্র। গাড়ির মধ্যেই বন্দুক ঠেকিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চায় তারা। না দিলে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়। এর পরে ওই চিকিৎসকের মোবাইল থেকে তাঁর বাড়িতে ফোন করে টাকা চাওয়া হয়। অপহরণের খবর পুলিশকে জানানো হয়। তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ চিকিৎসকের মোবাইলের টাওয়ারের অবস্থান খতিয়ে দেখতে শুরু করে। তাতেই জানা যায় তাঁর অবস্থান।

গৌতম জানিয়েছেন তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হচ্ছিল যাতে পুলিশ কিছুতেই তাঁর অবস্থান বুঝতে না পারে। তাঁকে ছ’নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে আলমপুর নামে একটি এলাকায় আটকে রাখা হয়। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে ওই চিকিৎসককে। গ্রেফতার করা হয়েছে সুদীপ্ত সিংহ এবং মহম্মদ হোসেন নামে দু’জন দুষ্কৃতীকে। তবে আরও কয়েক জন দুষ্কৃতী পলাতক। আদালতে হাজির করানোর পর ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Abduction police doctor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE