Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Mid Day Meal Scheme

বরাদ্দ না বাড়িয়েই খাওয়ার আয়োজন, ফাঁপড়ে বহু স্কুল

পুষ্টিকর খাবার সরবরাহের সরকারি এই উদ্যোগকে সাধুবাদ দিলেও বাড়তি তহবিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকেরা।

আরামবাগের তেলুয়া শিশুশিক্ষা সদনের মিড ডে মিলে ‘বিশেষ পদ’ মিষ্টি।

আরামবাগের তেলুয়া শিশুশিক্ষা সদনের মিড ডে মিলে ‘বিশেষ পদ’ মিষ্টি। —নিজস্ব চিত্র।

পীযূষ নন্দী
আরামবাগ শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:২৩
Share: Save:

কিছু স্কুল সামাল দিয়েছে দৈনন্দিন পদের সঙ্গে চাটনি রেখে। কয়েকটি স্কুলের শিক্ষকেরা চাঁদা তুলে উপভোক্তা পড়ুয়াদের পাতে মিষ্টি বা পায়েস দিয়েছেন।

নির্দেশ ছিল, জেলার সব স্কুলকেই নববর্ষ উপলক্ষে পুষ্টি জোগাবে, এমন একটি বিশেষ পদ রাখতে হবে মিড ডে মিলের পাতে। পদটি বিদ্যালয় স্তরেই নির্বাচন করতে হবে। রান্না করা পদ ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশন পর্যন্ত ছবি তুলে মিড ডে মিল দফতরে পাঠাতে হবে। রাঁধুনির বিশেষ পোশাক (অ্যাপ্রন ও মাথা ঢাকার সরঞ্জাম) থাকা বাধ্যতামূলক। বিষয়টি নিয়ে কোনও ধরনের আগাম বিজ্ঞাপনের প্রয়োজন নেই বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

পুষ্টিকর খাবার সরবরাহের সরকারি এই উদ্যোগকে সাধুবাদ দিলেও বাড়তি তহবিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকেরা। আরামবাগের তেলুয়া শিক্ষাসদনের প্রধান শিক্ষক কুন্তল ঘোষাল বলেন, “প্রাথমিকে মিড ডে মিলে বরাদ্দ ৫ টাকা ৪৫ পয়সা। রান্নার গ্যাস, সব্জি, আলু, তেল, মশলাপাতির দাম সামলে এই অবস্থায় উপভোক্তাদের প্রতি দিন পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, সপ্তাহে কোনও মতে এক দিন আস্ত বা অর্ধেক ডিম জোগানো দায়! এই অবস্থায় বিশেষ দিনগুলিতে খাওয়ানোর উদ্যোগ ভাল। কিন্তু তার সঙ্গে বিশেষ তহবিল যেন থাকে, সেই আবেদন রাখছি।” তিনি জানান, এ দিন শিক্ষকেরা চাঁদা তুলে পড়ুয়াদের একটি করে মিষ্টি খাওয়ানো হয়েছে।

বাড়তি তহবিল বরাদ্দের প্রসঙ্গ তুলে গোঘাটের দামোদরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শান্তনু পাল বলেন, “রাতে নির্দেশিকা পেয়ে প্রস্তুতি নেওয়া যায়নি। এ দিনের মেনু ডিমের সঙ্গে শুধু চাটনি দেওয়া গিয়েছে। ঠিক করেছি, আগামীকাল শিক্ষকেরাই চাঁদা তুলে মিষ্টি খাওয়াব।”

এ দিন বিশেষ পদ রান্নাই করতে পারেনি খানাকুলের রঞ্জিতবাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খানাকুলের ঘোষপুর হাইস্কুলের মতো অনেকেই। রঞ্জিতবাটি প্রাথমিক বিদ্য়ায়লের প্রধান শিক্ষক উত্তম পাত্র বলেন, “আমরা আগামী কাল বিশেষ পদ রান্নার পরিকল্পনা করেছি।” একই কথা জানান ঘোষপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুণকুমার মণ্ডল।

প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের জেলা পরিদর্শক দীপঙ্কর রায় বলেন, “নির্দেশিকা একটু দেরিতে এসেছিল। তবে এই বিশেষ পদ রাখার বিষয়টি স্পেশাল ড্রাইভ হিসাবে আগামী ৫ মে পর্যন্ত থাকছে। যে কোনও এক দিন আয়োজন করতে পারে স্কুলগুলি। পরবর্তীতে তহবিল বরাদ্দ হলে স্কুলগুলিকে পাঠানো হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE