দুর্যোগে বিপর্যস্ত পাহাড়। —নিজস্ব চিত্র।
এ যেন সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা। বৃষ্টি এবং ধসে বিপর্যস্ত পাহাড় থেকে নেমে এ কথাই বলছেন পর্যটকরা। এ বার পুজোয় পাহাড় ঘুরতে গিয়ে আরও পাঁচ জনের মতো দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছিলেন হুগলির উত্তরপাড়ার ২২ জন পর্যটক। প্রশাসনের সাহায্যে তাঁরা বুধবার রাতে রিশপ থেকে লাটাগুড়ি নামতে পেরেছেন। ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে এখনও শিউরে উঠছেন সকলেই।
গত ১৫ অক্টোবর উত্তরপাড়া থেকে পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ডুয়ার্স ঘুরতে গিয়েছিলেন উত্তরপাড়া পুরসভার কর্মী সঞ্জিত দাস। সঙ্গে ছিল বৈদ্যবাটীর পর্যটকদেরও একটি দল। কিন্তু বিধি বাম। রিশপ যাওয়ার পথেই তাঁরা আটকে পড়েন ধসে। রিশপের আগে নমাল মোড়ের কাছে তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে আশ্রয় নেন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ঘোরার আনন্দ মাটি হয়েছে। কোনওক্রমে প্রাণ নিয়ে ফিরতে পেরেছেন সঞ্জিত এবং তাঁর সহযাত্রীরা। বুধবার রাতে তাঁরা প্রশাসনের সহায়তার লাটাগুড়ি নামতে পেরেছেন। আশ্রয় নেন একটি হোটেলে।
ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে সঞ্জিত বলেন, ‘‘আমরা অবশেষে রিশপ থেকে ফিরতে পারলাম। এখন লাটাগুড়ি পৌঁছেছি। আমাদের দলে সাতটি শিশু এবং কয়েক জন মহিলাও আছেন। এখন মনে হচ্ছে, মৃত্যুর মুখ থেকে কোনওক্রমে ফিরে আসতে পারলাম। আমাদের সামনেই একের পর এক রাস্তায় ধস নামে। গাড়ি আটকে যায়। গাড়িচালক ফোন করে গাড়ির মালিককে খবর দেন। এর পর এক সময় মোবাইল যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অনেক চেষ্টার পর উত্তরপাড়ায় খবর পাঠানো সম্ভব হয়।’’ তিনি জানান, খবর পেয়ে উত্তরপাড়ার পুর প্রশাসক দিলীপ যাদব, জেলাশাসক পি দীপাপপ্রিয়া, শ্রীরামপুরের মহকুমা শাসক সম্রাট চক্রবর্তী সকলেই সাহায্য করেছেন। তাঁরা খোঁজখবর নিয়েছেন। সঞ্জিতের কথায়, ‘‘ওঁরা কালিম্পংয়ের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন।’’
সঞ্জিতদের মতোই উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালে সপরিবারে বেড়াতে গিয়ে প্রাকৃতির দুর্যোগের জেরে আটকে পড়েছেন চুঁচুড়ার গোরস্থানের বাসিন্দা দীপান্বিতা চক্রবর্তী। তাঁরা আপাতত আশ্রয় নিয়েছেন ভওয়ালিতে। বৃহস্পতিবার দীপান্বিতার বাড়িতে যান চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। দীপান্বিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দেন পাশে থাকার বার্তাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy