পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ ও বন্দুকটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। নিজস্ব চিত্র।
নিজের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কয়েক মুহূর্তের অপেক্ষা। তার পরই ট্রিগার টিপে আত্মহত্যা। আর এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়াল তারকেশ্বরের মোজপুর গ্রামে।
মৃত ব্যাক্তির নাম শান্তনু ঘোষ (৪৩ )। তাঁর পরিবারে স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বিভিন্ন এটিএমে টাকা নিয়ে যাওয়া গাড়ির প্রহরী হিসাবে কাজ করতেন শান্তনু। সেই কারণেই তাঁর কাছে লাইসেন্সড বন্দুক ছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার প্রাতঃভ্রমণ সেরে নিজের বাড়ি ফেরেন শান্তনু। বাড়ি ফেরার পর নিজের দোনলা বন্দুক মাথায় ঠেকিয়ে গুলি করেন তিনি। প্রতিবেশীরা গুলির আওয়াজ শোনার পরই তড়িঘড়ি তাঁর বাড়িতে পৌঁছন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে শান্তনুর শরীর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা।
মৃতের জ্যাঠতুতো দাদা সৌমেন ঘোষ বলেন, ‘‘আমি পাশেই থাকি। সকাল ৭টার সময় একটা শব্দ পাই। তবে সেটা গুলিরই আওয়াজ কি না তা বুঝতে পারিনি। শব্দ পেয়ে বেরিয়ে শান্তনুর স্ত্রী অনুশ্রীর কান্নার আওয়াজ পাই। দরজা বন্ধ ছিল। আমি তাকে দরজা খুলতে বলি। দেখি শান্তনুর দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পায়ের কাছে বন্দুক।’’
এর পর তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ ও বন্দুকটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে কাজ হারান শান্তনু। সংসার চালাতে জমিও বিক্রি করতে হয় তাঁকে। ইদানীং তিনি মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলেও পরিবারের দাবি। তার জেরেই শান্তনু আত্মহত্যা করেন বলে অনুমান। তবে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy