Advertisement
১৯ মে ২০২৪

ধর্ষণে সাত বছর কারাদণ্ড যুবকের

এক যুবতীকে ধর্ষণের দায়ে পড়শি যুবকের সাত বছর সশ্রম কারাদন্ডের সাজা দিল শ্রীরামপুর আদালত। জাঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা সমর মালিক ওরফে মিঠুকে মঙ্গলবার ওই সাজা শোনান আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক কল্লোল চট্টোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৭ ০১:৫৯
Share: Save:

এক যুবতীকে ধর্ষণের দায়ে পড়শি যুবকের সাত বছর সশ্রম কারাদন্ডের সাজা দিল শ্রীরামপুর আদালত। জাঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা সমর মালিক ওরফে মিঠুকে মঙ্গলবার ওই সাজা শোনান আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক কল্লোল চট্টোপাধ্যায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, বিবাহিতা হলেও বছর বাইশের ওই যুবতী স্বামীর সঙ্গে থাকতেন না। জাঙ্গিপাড়ায় বাপের বাড়িতে থাকতেন। ২০১৪ সালের ১০ জুন রাতে তিনি বাড়ির কাছেই মুড়িপুকুর গ্রামে কালীপুজো দেখতে গিয়েছিলেন। বোন এবং অন্য কয়েক জন পরিচিতের সঙ্গে পুজো উপলক্ষে তিনি সেখানে রাত জাগেন। পর দিন ভোরে মিঠু তাঁকে সাইকেলে চাপিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় বেলপাড়া মাঠের কাছে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটিকে ফেলে রেখে সে চম্পট দেয়।

বাড়ি গিয়ে বাবা-মাকে সব জানান ওই তরুণী। আহত ওই তরুণীকে প্রথমে আঁইয়া হাসপাতাল ও সেখান থেকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। নির্যাতিতার মা পুলিশে এফআইআর করেন। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ। আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন নির্যাতিতা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। তিন মাসের মধ্যে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী অফিসার মহেশ্বর মাঝি। অভিযুক্ত পরে হাইকোর্ট থেকে জামিন পায়। আদালতে শুনানিতে মোট ১০ জন সাক্ষ্য দেন।

শুক্রবার বিচারক কল্লোল চট্টোপাধ্যায় ৩৭৬ ধারায় ওই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করেন। মঙ্গলবার বিচারককে মিঠু বলে, সে সংসারের একমাত্র রোজগেরে। বাড়িতে তার মা-বাবা এবং স্ত্রী আছে। বিচারক যেন তাকে ক্ষমা করে দেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বিচারকের কাছে আবেদনে বলেন, ‘‘মেয়েটি শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার শিকার। আদালত যেন তাঁর ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে।’’

দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে বিচারক সমর মালিক ওরফে মিঠুকে দোষী যুবককে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি আরও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাবাসের সাজা শোনান। জরিমানার পুরো টাকাই নির্যাতিতাকে দেওয়ার আদেশ দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Imprisonment Rape Case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE