Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

শ্রীরামপুরে শ্রী ফেরাতে চুক্তি

স্বচ্ছ শহর গড়ার ডাক দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু স্বচ্ছতার নিরিখে শ্রীরামপুর এখনও ‘শ্রী-হীন’ ব‌লে নাগরিকদের অনেকেরই অভিযোগ। পথেঘাটে জমা আবর্জনা, থার্মোকল-প্লাস্টিকে বদ্ধ নর্দমা থেকে এখনও মুক্তি পায়নি এ শহর।

আবর্জনা: মুখ ঢেকেছে নিকাশি নালা। নিজস্ব চিত্র

আবর্জনা: মুখ ঢেকেছে নিকাশি নালা। নিজস্ব চিত্র

প্রকাশ পাল
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৩২
Share: Save:

স্বচ্ছ শহর গড়ার ডাক দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু স্বচ্ছতার নিরিখে শ্রীরামপুর এখনও ‘শ্রী-হীন’ ব‌লে নাগরিকদের অনেকেরই অভিযোগ। পথেঘাটে জমা আবর্জনা, থার্মোকল-প্লাস্টিকে বদ্ধ নর্দমা থেকে এখনও মুক্তি পায়নি এ শহর। পুর-কর্তৃপক্ষের দাবি, শহর পরিষ্কার করতে তাঁরা সর্বদাই তৎপর। সেই সঙ্গে বর্জ্য থেকে সার তৈরির প্রকল্প নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। এর জন্য বৃহস্পতিবার একটি সংস্থার সঙ্গে পুর-কর্তৃপক্ষেরও চুক্তিও হয়েছে।

পুরসভা সূত্রের খবর, প্রায় ২ লক্ষ মানুষের এই শহরে প্রতিদিন গড়ে ৮০ মেট্রিক টন বর্জ্য জমা হয়। পুরসভার বিশেষ ইউনিটে প্রতিদিন অন্তত ৫০ মেট্রিক টন পচনশীল বর্জ্যের সার তৈরি হবে। পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর অনুজ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বহরমপুরের একটি বেসরকারি সংস্থা সার তৈরি করবে। বিক্রির ব্যবস্থাও তারাই করবে। পুরপ্রধান অমিয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে শহর অনেকাংশেই দূষণমুক্ত হবে।’’

হুগলি জেলার ছ’টি পুরসভা (উত্তরপাড়া-কোতরং, কোন্নগর, রিষড়া, শ্রীরামপুর, বৈদ্যবাটি এবং চাঁপদা‌নি) মিলিয়ে কঠিন-বর্জ্য প্রতিস্থাপনের ভাবনা বাম আমলের। জাপানের আর্থিক সহায়তায় এবং কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি পুর-এলাকায় আলাদা করে সার তৈরির ইউনিট তৈরি হয়েছে। পুরসভাগুলির অপচনশীল পদার্থ বৈদ্যবাটির দীর্ঘাঙ্গিতে নিয়ে গিয়ে ‘স্যানিটারি ল্যান্ড ফিলিং’ করা হচ্ছে। প্রকল্পটি গড়ে কেএমডিএ।

শ্রীরামপুরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে রেললাইনের ধারে পুরসভার নিজস্ব ইউনিটটি তৈরি হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, গত এক বছর ধরে কেএমডিএ এই প্রকল্প চালিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তারা পুরসভার হাতে প্রকল্প হস্তান্তর করে। পুর-কর্তৃপক্ষের দাবি, দিন কয়েকের মধ্যেই ওই সংস্থা প্রকল্প চালু করে দেবে।

শহরবাসী অবশ্য জঞ্জাল অপসারণ নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন। তাঁদের বক্তব্য, সব জায়গায় বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল সাফাই নিয়মিত হচ্ছে ন‌া। কিছু জায়গায় রাস্তাঘাটে আবর্জনা জমে থাকছে। পুরসভার জঞ্জাল সাফাই বিভাগের চেয়ারম্যান ইন-কাউন্সিল গৌরমোহন দে’র দাবি, অনুষ্ঠানবাড়ি ছাড়াও বিভিন্ন বাজার এবং জিটি রোডের ধার-সহ অন্য রাস্তায় প্রতিদিনই আবর্জনা সাফাই করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘সব জায়গায় বাড়ি থেকেই পচনশীল ও অপচনশীল পদার্থ আলাদা করে সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে প্রকল্পের মধ্যেই সেগুলি পৃথক করার বন্দোবস্ত রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Agreement Agency Municipality Serampore
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE