পরিদর্শন: আমতা মাঠের হাল দেখছেন আয়োজকরা। নিজস্ব চিত্র
এক মাস আগেও জলের নীচে ছিল বেশিরভাগ এলাকা। মাঠের অবস্থা ছিল তথৈবচ। কিন্তু ১১টি নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনালের দিন আগেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। বিলি হয়ে গিয়েছে লিফলেট। তাই প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট দিনেই ফাইনাল করতে বদ্ধপরিকর ছিল হাওড়ার আমতা-জয়পুর থানা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন। বর্তমানে পরিস্থিতি যা, তাতে একটি বাদে সব কটি ফাইনালই নির্দিষ্ট দিনে হচ্ছে।
হাওড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার অনুমোদিত আমতা-জয়পুর থানা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন প্রতি মরসুমে লিগ ছাড়াও ১১টি নক আউট ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। ১১টি বিশেষ দিনে সেগুলির ফাইনাল হয়। মরসুম শুরুর আগেই তাদের পুরো ফুটবল ক্যালেন্ডার প্রকাশিত হয়। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মহালয়া, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী, একাদশী, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, ২২ অক্টোবর, ২৫ ডিসেম্বর এবং ২০১৮ সালের ১২ জানুয়ারি প্রতিযোগিতাগুলির ফাইনাল হওয়ার কথা। প্রতিটির জন্য আলাদা মাঠ নির্দিষ্ট। কিন্তু বাদ সাধে অতিবৃষ্টি। জুলাই ও অগস্ট মাস জুড়ে টানা বৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হয় আমতা ও জয়পুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। তখন মাঠগুলি জলে ভরে যায়। বন্ধ হয়ে যায় খেলা।
আয়োজকেরা তখন নির্দিষ্ট দিনে ফাইনাল করার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় ফুটবলপ্রেমী এবং ক্লাবের কর্তারা ফাইনালগুলি নির্দিষ্ট দিনেই করার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন। টানা বৃষ্টির পরেও সন্তোষনগর মাঠ ও খড়িয়প মাঠের অবস্থা তুলনায় ভাল ছিল। তখন সিদ্ধান্ত হয়, অন্য মাঠগুলি খেলার উপযোগী না হওয়া পর্যন্ত ওই দু’টি মাঠেই সব কটি প্রতিযোগিতার খেলা চলবে। এখন অবশ্য বর্তমানে বেশিরভাগ মাঠ থেকেই জল নেমে গিয়েছে। ফলে সেগুলিতেও খেলা দেওয়া হচ্ছে।
সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নিখিল সামন্ত জানান, খেলা বন্ধ না হওয়ায় এখন ৯টি প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল পর্যায় চলছে। কালীপুজোর পরে বাকি দু’টি প্রতিযোগিতার খেলা শুরু হবে। প্রথম ফাইনালটি মহালয়ার দিন আমতা মাঠে হওয়ার কথা থাকলেও ওই মাঠটি এখনও খেলার জায়গায় নেই। তাই ওই ফাইনালটি পরে হবে। তিনি বলেন, ‘‘বাকি ১০টি প্রতিযোগিতার ফাইনাল আমরা ক্রীড়াসূচি মেনেই করতে পারছি। এটাই আমাদের সাফল্য।’’
হাওড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাথলেটিক সচিব তথা আমতা-জয়পুর থানা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা সুকান্ত পাল জানান, সংস্থাটির আওতায় ২৪টি ক্লাব রয়েছে। নকআউট প্রতিযোগিতাগুলির মধ্যে একটির বয়স ৯৮ বছর। দু’টির বয়স ৭০ বছরের বেশি। আবার দুই-তিন বছর আগে শুরু হয়েছে এরকম প্রতিযোগিতাও রয়েছে। সব কটির সঙ্গেই স্থানীয় মানুষের আবেগ জড়িত। তাই ঝুঁকি নিয়েও ফুটবলার ও রেফারিরা মাঠে নেমেছেন। তাই শেষমেষ সূচি মেনেই ফাইনাল হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy