শুভদীপ মণ্ডল।—নিজস্ব চিত্র।
নতুন বছরে বাড়িতে আসা এক আত্মীয়ের বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিল তিন বন্ধু। বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই বন্ধুর। একজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। বৃহস্পতিবার সকালে উলুবেড়িয়ায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত দু’জন সুমন দেঁড়ে (১৮) ও শুভদীপ মন্ডল (১৬)। সুমনের বাড়ি বাগনানের নবাসনে ও শুভদীপের বাড়ি বৃন্দাবনপুরে। আহত অভিজিৎ আদকের বাড়ি বাগনানেরই পিপুলানে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন শুভদীপের বাড়িতে তাঁর এক আত্মীয় মোটরবাইক নিয়ে এসেছিল। সেই মোটরবাইক নিয়েই শুভদীপ একটু ঘুরে আসার নাম করে সাড়ে ৯টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়। পথে দুই বন্ধু সুমন ও অভিজিৎকে বাইকে তুলে নেয়। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইকটি প্রচণ্ড গতিতে উলুবেড়িয়া থেকে বাগনানের দিকে আসছিল। সেই সময় সামনের একটি ডাম্পারকে ওভারটেক করার চেষ্টা করছিল তারা। হঠাৎই ডাম্পারটি ডান দিকে সরে এলে বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়ে তিন বাইকআরোহী। ছুটে আসে আশপাশের লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় উলুবেড়িয়া থানার পুলিশও। গুরুতর আহত তিন কিশোরকে উদ্ধার করে পুলিশ উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা সুমন ও শুভদীপ মৃত বলে জানান। অভিজিৎ হাসপাতালে ভর্তি। দুর্ঘটনার খবর বাড়িতে পৌঁছতেই এলাকায় শোকের ছায়া নামে। সুমন ও শুভদীপের পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা হাসপাতালে যান। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমন এবার উচ্চমাধ্যমিক দিয়েছে। বাবা স্বপনবাবু উলুবেড়িয়ার এক চটকলের কর্মী। বললেন, ‘‘কষ্ট করে ছেলেটাকে লেখাপড়া শেখাচ্ছিলাম। ওকে নিয়ে আশা ছিল। এক লহমায় সব শেষ হয়ে গেল।’’ তমলুকের হ্যামিলটন হাইস্কুলের ছাত্র শুভদীপ এ বার মাধ্যমিক দিয়েছে। পলিটেকনিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। বাবা শঙ্কর মণ্ডল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানায় সাব-ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত। বললেন, ‘‘ভাল কিছু করার আশায় ছেলেকে ভাল জায়গায় রেখে পড়াশোনা করাচ্ছিলাম। সব শেষ হয়ে গেল।’’ দরিদ্র পরিবারের ছেলে অভিজিতের বাবা অমল আদকের ছোটখাট চায়ের দোকান রয়েছে। তাতেই কোনওমতে দিন গুজরান হয় পরিবারের। কাকা নির্মলবাবু বললেন, ‘‘একেই পরিবারের অবস্থা শোচনীয়। তার উপর ছেলেটা চলে গেল। কী বলে দাদাকে সান্ত্বনা দেব?’’ তিনজনেরই বাইকের শখ ছিল বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন। পুলিশ দু’টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। ডাম্পার ও চালকের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
সুমন দেঁড়ে।
ট্রাকের ধাক্কায় প্রৌঢ়ের মৃত্যু। ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। বৃহস্পতিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির বৈদ্যবাটিতে। মৃতের নাম শ্যামল ভট্টাচার্য (৫৫)। বাড়ি স্থানীয় কাজিপাড়ায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামলবাবু নিউশন পড়াতেন। এ দিন সকালে তিনি সাইকেলে করে নিমাইতীর্থ ঘাটের কাছে বৈদ্যবাটি বাজারে গিয়েছিলেন। সাড়ে ১০টা নাগাদ বাজার থেকে ফেরার পথেই একটি ট্রাক তাঁকে ধাক্কা মারে। মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy