সারল্যের সুযোগ নিয়েই রিষড়ার রাধারানি দেবনাথকে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে আততায়ী। দশ মাস আগে বর্ধমানের নাদনঘাটে ওই যুবতীকে খুনের ঘটনায় সোমবার এক যুবককে গ্রেফতার করার পর এমনই বক্তব্য নিহতের বাড়ির লোকজনের। পুলিশের দাবি, খুনের কথা কবুল করেছে ধৃত বিজন দেবনাথ। সে জানিয়েছে এক সময় সে রিষড়ায় রিকশা চালাত। সেই সূত্রেই রাধারানির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক হয়। রাধারানি তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তাই ‘পথের কাঁটা সরাতে’ বিয়ের টোপ দিয়েই সে ওই গ্রামে এনে সে তাঁকে খুন করে।
গত বছর ২০ মে নাদনঘাটের চাকদহ গ্রামের মাঠে বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবতীর ক্ষতবিক্ষত দেহ মেলে। তদন্তে নেমে দশ মাস ধরে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে শেষে ওই এলাকারই বাসিন্দা বিজন দেবনাথকে গ্রেফতার করে নাদনঘাট থানার পুলিশ। রাধারানীর মা এবং ভাই রিষড়ার পঞ্চাননতলায় থাকেন। তাঁরা জানান, গত বছর ১৯ মে বিকেল ৪টে নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন রাধারানি। বলেছিলেন পরিচিত এক মহিলার মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন। তারপর আর ফেরেননি। ভাই সঞ্জয়ের কথায়, ‘‘এর আগেও দিদি কয়েক দিন ওই মহিলার বাড়িতে কাটিয়ে এসেছিলেন। তাইম আমরা চিন্তা করিনি।’’ শেষ পর্যন্ত কোনও হদিস না পেয়ে মাস দু’য়েক পরে তাঁরা রিষড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। মেয়ের কী হল তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন মা। ঘটনার কিছু দিন পরে নাদনঘাট থানা থেকে খবর পেয়ে মেয়ের পোশাক ও ছবি শনাক্ত করেন তাঁরা। কিন্তু মেয়ে যে খুন হয়েছে তা মানতে পারেননি তাঁরা। সোমবার এক যুবকের গ্রেফতারের পর সব জেনে ভেঙে পড়েন তাঁরা।
এ দিন ভাই সঞ্জয় বলেন, ‘‘ছোটবেলায় বাবা মারা যান। তার পর থেকে খুব কষ্ট করে বড় হয়েছি। দিদি অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাত। খুব সরল-সাধাসিধে ছিল। তারই সুযোগ নিয়ে দিদিকে খুন করেথে লোকটা।’’ তিনি জানান, পুলিশ যাকে ধরেছে তাকে তিনি দেখেননি। দেখলে হয়তো চিনবেন। তবে দিদিকে যে ভাবে খুন করা হয়েছে তাতে যেন ওর কঠিন সাজা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy